না, আমি সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তৈরি করা কোনো সূচকের কথা বলছি না। কিংবা বলছি না কোনো অর্থনীতিবিদের সুনির্দিষ্ট হিসাব-নিকাশের ভিত্তিতে তৈরি কোনো সূচকের কথাও। আমি বলছি, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জনগণ যে সূচকগুলো নিজেদের চোখে, নিজেদের মতো হিসাব-নিকাশ করে দেখছে, সেগুলোর কথা। সেই সূচকগুলোর কোনোটিতেই ইতিবাচক প্রবণতা নেই। দেখা যাচ্ছে না ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোনো স্বচ্ছ চিত্রও। ফলে একধরনের আশঙ্কা অথবা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একটা অনিশ্চয়তাবোধ জনগণের মধ্যে কাজ করছে।
জনতার চোখে যে সূচকগুলো অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ তার শীর্ষে রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য। এই ক্ষেত্রে মোটেই কোনো ইতিবাচক প্রবণতা নেই। চাল-ডাল ছাড়াও আলু-পেঁয়াজের দাম নিয়ে কাটাছেঁড়া অনেক হয়েছে। কিন্তু আমদানি বহুমুখী করা এবং ব্যাপক হারে শুল্কছাড়ের পরও এ ক্ষেত্রে ফলাফল শূন্য। বরং দাম আরও বেড়েছে। এরপর অতিসম্প্রতি সয়াবিন তেল নিয়ে যে তেলেসমাতি কাণ্ড জনগণ দেখল, তাতে আক্কেলগুড়ুম হওয়ারই কথা। কারণ, একই রকম কাণ্ড তারা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও একাধিকবার দেখেছে। প্রথমে কোনো সামগ্রীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা, তারপর বেশি দাম দিলে পাওয়া যাওয়া এবং শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা দিয়ে দাম বাড়িয়ে দেওয়া।