জিকা কী
জিকা ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় উগান্ডায় ১৯৪৭ সালে। ভাইরাসটি পাওয়া গিয়েছিল রেসাস ম্যাকাও বানরের শরীরে। পরবর্তী সময়ে পঞ্চাশের দশকে আফ্রিকান দেশগুলোয় মানুষের শরীরেও এই জীবাণু পাওয়া যায়। ভয়াবহ ব্যাপার হলো, ১৯৬০-১৯৮০ সালের মধ্যে আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে এটি ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম ধরা পড়ে ২০১৪ সালে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে পাঁচজন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়, যদিও বিষয়টি সাধারণের অজানা ছিল। গত তিন মাসে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত আটজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। জিকার দুটি ধরন—এশিয়ান ও আফ্রিকান। বাংলাদেশে পাওয়া রোগের ধরন এশিয়ান, যা প্রায় ৯ বছর পর পাওয়া গেল।
জিকা ভাইরাস কীভাবে ছড়ায়
জিকা ভাইরাস ছড়ায় এডিস মশকীর মাধ্যমে। এই মশা দিনে বেশি কামড়ায়। আর এই মশা দিয়েই ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও পীতজ্বরও ছড়ায়। রক্ত পরিসঞ্চালন এবং অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়ায়। গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের মধ্যে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে তা গর্ভের শিশুতেও সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। গর্ভস্থ শিশুর জন্য বিষয়টি মারাত্মক জটিলতার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
রোগের লক্ষণ কী কী
জিকা ভাইরাস সংক্রমণে সাধারণত কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। তবে ৩–১৪ দিনের মধ্যে শরীরে লালচে দানার মতো ছোপ বা র্যাশ, হালকা জ্বর, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ থেকে পানি পড়া, মাংসপেশি এবং গিঁটে গিঁটে ব্যথা, অবসাদ এবং মাথাব্যথা হতে পারে। এসব লক্ষণ সর্বোচ্চ ২-৭ দিন থাকতে পারে।