আমাদের দেশে তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এটি আশাব্যঞ্জক, কেননা এ স্পৃহা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। আরও একটা বিশেষ ব্যাপার লক্ষণীয়; বর্তমানে শিক্ষিত যুবকদেরও অনেকে উদ্যোক্তা হতে চাচ্ছেন, যা প্রশংসার দাবিদার। একজন নতুন উদ্যোক্তা নিজে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এবং একই সঙ্গে কর্মবাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে, যা দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে।
অনেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করে সফল হয়েছেন, যাদের হয়তো আমরা চিনি। কিন্তু অধিকাংশই ব্যর্থ হয়েছেন, যাদের গল্প আমাদের জানা নেই। সফল উদ্যোক্তাদের কথা শুনলে বোঝা যায় তারা কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফলতার শীর্ষে পৌঁছেছেন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, শতকরা ৯০ জন উদ্যোক্তাই ব্যর্থ হন, বাকি মাত্র ১০ শতাংশ সফলতা লাভ করেন। ব্যর্থতার একটা প্রধান কারণ হচ্ছে, যে ব্যবসাটা তারা করছেন, তা পরিচালনা করার পর্যাপ্ত জ্ঞান তাদের নেই অথবা খুব দ্রুত ব্যবসা থেকে সফলতা চাচ্ছেন, যেখানে ধৈর্যের অপ্রতুলতা লক্ষণীয়। পরিসংখ্যান বলছে, সফল ব্যবসার মধ্যে শুধু ১ শতাংশ ইউনিকর্ন ব্যবসায়ী হয়। যেমন-উবার, এয়ারবিএনবিসহ অনেক নব্য ব্র্যান্ড রয়েছে বিশ্বব্যাপী। অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুরু করার প্রথম বছরেই ২০ শতাংশ ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়, ৩০ শতাংশ বন্ধ হয় দ্বিতীয় বছরে, তৃতীয় বছরে বন্ধ হয়ে যায় ৫০ শতাংশ এবং দশম বছরে প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়।