গত জুলাই-আগস্ট মাসের গণ-অভ্যুত্থান একদিকে যেমন আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছে, ঠিক তেমনি এ দেশের মানুষের মনস্তত্ত্বে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। প্রবল ওই গণ-আন্দোলন শেখ হাসিনার ১৬ বছরের দুঃশাসনে নুইয়ে পড়া মানসিক শক্তির পুনর্জাগরণ করেছে। তাই মূল মালিক হিসেবে জনগণ এখন রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় অংশীদারি দাবি করছে। পরিবর্তনের দাবি তুলছে সেসব ব্যবস্থার, যা সরকারকে স্বৈরাচার হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
সংস্কারের দাবি জোরালো থেকে জোরালো হচ্ছে।
৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সংস্কারের এই দাবি উঠতে শুরু করে। সংস্কারের এই দাবির পেছনে যৌক্তিকতাও রয়েছে। এর আগেও কয়েকবার রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সংস্কারের দাবি উঠেছিল।