বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তিপ্রস্তর, পোশাক শিল্প, এ মুহূর্তে সুস্পষ্টভাবে একটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। সেটি হলো কিছু পণ্য উৎপাদনে অতিরিক্ত সামর্থ্য অর্জন। এসব পণ্যের ক্ষেত্রে অপরিকল্পিত সম্প্রসারণ এবং অতিরিক্ত সামর্থ্য অর্জন শিল্পের জন্য একটি বড় ফল্ট লাইন তৈরি করেছে। আরো সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, শিল্পটি প্রধানত তিনটি প্রধান পণ্যের (টি-শার্ট, ট্রাউজার ও সোয়েটার) মধ্যেই কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে এবং এ পণ্যগুলোয় কয়েক দশক ধরে ব্যাপক বিনিয়োগ হয়ে একটি ক্যাপাসিটি ট্র্যাপ বা সামর্থ্যের ফাঁদ তৈরি হয়েছে।
এই ক্যাপাসিটি ট্র্যাপ তৈরির সূচনা ঘটেছিল শিল্পের প্রথম দিকের দিনগুলোয়। বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় মাল্টি-ফাইবার অ্যারেঞ্জমেন্টের (এমএফএ) আওতায় কোটা সুবিধা, ২০০৪ সালের শেষাবধি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের জন্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে। কোটা বিলুপ্তির পর চাহিদায় একটি বড় ধরনের ছন্দপতন ঘটবে, এ রকম একটি আশঙ্কা থেকে কারখানাগুলো নতুন বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় শুল্কের ওপর প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোটা বিভাগে সামর্থ্য ও সক্ষমতা আরো বাড়িয়েছে, যা শিল্পকে ধীরে ধীরে অতিরিক্ত ঘনীভূত পরিস্থিতির দিকে নিয়ে গেছে।