গত তিন মাসে অভ্যাসটা এমন দাঁড়িয়েছে যে ঘুম ভেঙেই প্রথমে ট্র্যাফিক এলার্ট লক্ষ করি, নগরীর কোথায়, কী অবস্থা থাকবে তা জানার জন্য। কে, কখন, কোথায় রাস্তা দখল করে নিজ নিজ দাবি নিয়ে বসে পড়বেন বা কারা কার সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়ছেন, এটা জানা খুব দরকার। নয়তো ভয়াবহ বিপদে পড়তে হতে পারে, মাথায় ইট-পাটকেল উড়ে এসে পড়তে পারে, পিঠে উচ্ছৃঙ্খল জনতা বা পুলিশের দু’ঘা পড়তে পারে, শিশুরা ভীতিকর অবস্থার শিকার হতে পারে, কর্মস্থলে আটকা পড়তে পারেন এবং সর্বোপরি অকালে প্রাণ হারাতে পারেন। কাজেই জেনে বুঝে পথে নামার প্র্যাকটিস করছেন অনেকেই। যদিও মারামারি, গোলযোগ, অবরোধের ঘটনা ও ঘটনার সময়ক্রম মনে রাখাটা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যেমন সেদিন রাত প্রায় ১১ টার দিকে একজন সতর্ক করে দিয়ে ট্র্যাফিক এলার্ট পেইজে লিখেছেন, তেজগাঁও এভয়েড করুন। এখানে পলিটেকনিক ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল কলেজের ছাত্রদের মধ্যে গোলযোগ চলছে এবং প্রচন্ড যানজট। এই স্ট্যাটাসের নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ভাই দিনে-রাতে এত এভয়েড করতে করতে কখন যে দুনিয়াটাই এভয়েড করতে লাগে।’ এটাই এখন ঢাকাবাসীর অবস্থা। সোমবার রাত পৌনে একটার সময়ও উত্তেজনা চলছিল রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার বিটাক মোড়ে।