পয়তাল্লিশ বছর বয়সী রহিম মিয়া পেশায় একজন দিনমজুর। তার ছয় সদস্যের পরিবারের জন্য প্রতিদিন ২০-২৫ লিটার পানি প্রয়োজন হয়। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী পুকুরের পানি শোধন করে লিটার প্রতি ১ টাকা দরে বিক্রি করেন। সেখান থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করেন তিনি। শুষ্ক মৌসুমে এই পানি ২ টাকা প্রতি লিটারও কিনতে হয়। দিনমজুরির আয়ে যেখানে সংসারের খরচ চালাতেই হিমশিম অবস্থা, সেখানে সুপেয় পানি কেনা তার জন্য মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।
তবে শুধু রহিম মিয়া নন উপকূলের প্রায় প্রতিটি ঘরের চিত্র অনেকটা একই। সুপেয় পানির দীর্ঘদিনের সংকট এখন চরমে পৌঁছেছে। লবণাক্ততা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর কারণে রামপালসহ পুরো বাগেরহাট জেলার বাসিন্দারা সুপেয় পানির অভাবে দিন পার করছেন।
পানি আনতে হাঁটতে হয় তিন থেকে চার কিলোমিটার
রামপাল উপজেলার পেড়িখালি ইউনিয়নে ফুল পুকুর নামে একটি সরকারি পুকুর রয়েছে। এই পুকুরে পানি বিশুদ্ধ করার জন্য বেশ কয়েক বছর আগে পন্ড স্যান্ড ফিল্টার (পিএসএফ) বসানো হয়েছে। আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ এখান থেকে পানি সংগ্রহ করেন। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে পিএসএফ এখনো ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ।
ফুল পুকুরের পিএসএফ থেকে পানি নিতে আসা ইশীতা পাল বলেন, তিন থেকে চার কিলোমিটার হেঁটে সরকারি পুকুরের পিএসএফ থেকে পানি নিতে হয়। এই পানি কতটা নিরাপদ তা জানি না, বাধ্য হয়ে ব্যবহার করছি।