বিদেশে পড়তে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন? এই ৫ ভুল করছেন না তো

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:১৮

উচ্চশিক্ষার জন্য ভিনদেশে পাড়ি দেওয়ার পথটা সহজ নয়। ‘শর্টকাট’ খুঁজতে গিয়ে অনেকেই দিশাহারা হয়ে পড়েন। প্রচলিত পাঁচটি ভুল ধারণা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।


‘আইইএলটিএস, টোয়েফলের প্রয়োজন নেই’


আইইএলটিএস-টোয়েফলের স্কোর ছাড়া, কিংবা স্কোর কিছুটা কম নিয়েও যে নানা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায়—এ কথা একেবারে মিথ্যা নয়। কিন্তু আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পড়তে যেতে চান, আইইএলটিএস বা টোয়েফল ছাড়া যাওয়া প্রায় অসম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ইংরেজি ভাষার দক্ষতা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ, তারা চায়, শিক্ষার্থী যথাযথভাবে ইংরেজি ভাষায় পড়াশোনা, গবেষণা, এবং বিভিন্ন একাডেমিক কাজ করতে সক্ষম হোক। ইউনিভার্সিটি অব আইওয়ার কলেজ অব ফার্মাসির ডক্টরাল শিক্ষার্থী অতনু চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘অনেকে ফেসবুক বা অনলাইনে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখে বিভ্রান্ত হন। আইইএলটিএস বা টোয়েফল পরীক্ষার স্কোর শুধু ভর্তির জন্য নয়, ভিসা প্রক্রিয়ায়ও খুব গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ দেশের দূতাবাস ও ভিসা কর্তৃপক্ষ এসব পরীক্ষার স্কোরের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীর আবেদন মূল্যায়ন করে। তাই আইইএলটিএস বা টোয়েফল স্কোর ছাড়া বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগের চিন্তা করাটা বাস্তবসম্মত নয়। যেসব প্রতিষ্ঠান এসব স্কোর ছাড়াই বিদেশ আসার ডাক দেয়, তাদের এড়িয়ে চলা ভালো।’


‘শর্টকাটে’ বিদেশ যাওয়া যায়


অনেক শিক্ষার্থী মনে করেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে কাগজপত্র তৈরি করে, নকল সনদ জমা দিয়ে ভিসার লাইনে দাঁড়ালেই বিদেশ পড়তে যাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ ভাবেন, ‘আমার কিছুই করা লাগবে না। কাগজপত্র যা লাগে, সব এজেন্সিই করে দেবে।’ এভাবে ভর্তি সম্ভব নয়। বিদেশে পড়তে যাওয়ার কোনো ‘শর্টকাট’ নেই। ‘শর্টকাট’ পথে গেলে পরে বিপদে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার‌্যাক্টিভ মিডিয়া ও প্রোডাক্ট ডিজাইন বিভাগের শিক্ষার্থী মহিদুল আলম বলেন, ‘বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে পড়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিলে সময় ও অর্থ দুটোই নষ্ট হবে। সঠিক তথ্য যাচাই করুন, পেশাদার পরামর্শ নিন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করতে হয় অনেক আগে থেকে। “১০ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে পড়তে যান”—এমন চটকদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়। যেমন আইইএলটিএস বা টোয়েফল, জিআরই পরীক্ষার জন্য সময়মতো প্রস্তুতি নেওয়া। সব সময় যে এজেন্সির শরণাপন্ন হতে হবে, তা-ও নয়। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন অফিস সাধারণত সাহায্য করার জন্য মুখিয়ে থাকে। সরাসরি তাঁদের কাছে ই–মেইল করেই আপনি অনেক তথ্য জেনে নিতে পারবেন। অনেকে হয়তো বিমানে চড়ে ভিনদেশে চলেও যান, কিন্তু গিয়ে দেখেন ভিন্ন বাস্তবতা। থাকার জায়গার ঠিক নাই, কাজ নাই—এমন অনেক কঠিন বাস্তবতা সামনে আসে। অন্তত প্রথম কয়েক মাস চলার জন্যও কিছু অর্থের প্রয়োজন হয়। ঠিকঠাক প্রস্তুতি না নিয়ে বিপদে পড়বেন না।’


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us