ঢাকার একজন আইনজীবী শরীয়াহভিত্তিক একটি ব্যাংক থেকে ডিপিএসের বিপরীতে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই টাকা স্থানান্তর করেন ওই শাখাতেই তার মেয়ের অ্যাকাউন্টে। প্রথম দফায় হাজার পঞ্চাশেক তুলতে পারলেও এখন আর টাকা পাচ্ছেন না।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বাসাবোর ওই শাখা থেকে অক্টোবর থেকে মাসে শুধু পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে ওই আইনজীবীকে, ব্যক্তিগত তথ্য বলে যিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি।
তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজনে ঋণটা নিতে হয়েছিল। অথচ গত সেপ্টেম্বরের পর সেই অর্থ তুলতেই পারছেন না। এখন মাসের ১৯ থেকে ২৩ তারিখ পাঁচ হাজার টাকার একটা চেক জমা নিচ্ছে ব্যাংক; আর টাকা দিচ্ছে ২৫ তারিখ। একজন গ্রাহককে মাসে শুধু একবারই টাকা দেওয়া হচ্ছে। ব্যবস্থাপকের সঙ্গে দেখা করেও লাভ হয়নি।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ওই আইনজীবীকে বলেছেন, “আপনারা তো জানেন সবকিছু। সবাই একসঙ্গে টাকা তুলতে আসায় এমনটি হচ্ছে। আমার কিছুই করার নেই।”
ঋণের টাকা তুলতে না পারলেও এর বিপরীতে ঠিকই সুদ গুনতে হবে ওই গ্রাহককে। এ নিয়ে ক্ষোভ ও বিরক্তির শেষ নেই তার।
ওই আইনজীবীর মত লাখো গ্রাহক এখন বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে জরুরি দরকারে নিজের অর্থ তুলতে পারছেন না। এমনকি কিছু ব্যাংকার যেমন নিজের বেতনের টাকা তুলতে পারছেন না; তেমনি এসব ব্যাংকে ‘স্যালারি অ্যাকাউন্ট’ থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরও টাকা পেতে নাজেহাল হতে হচ্ছে।