মাথাব্যথা বা শরীরে কোনো ধরনের ব্যথা হলে অনেকেই ঘন ঘন পেইন কিলার খান। কিছু ক্ষেত্রে, আপনি অসুস্থ হতে পারেন এবং ডাক্তার-নির্ধারিত ব্যথানাশক ওষুধের ডোজ গ্রহণ করতে হতে পারে। যাই হোক না কেন, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে পেইন কিলার সেবনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যা আপনার কিডনির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যথানাশক ওষুধের দীর্ঘস্থায়ী অত্যধিক ব্যবহার কিডনি ফেইলিওর বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের কারণ হতে পারে।
আপনার যদি পেইন কিলার খাওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কাটানোর জন্য খাবার ও লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে-
১. পানি পানের পরিমাণ বৃদ্ধি করুন
আপনি যখন ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করেন, তখন পানি পানের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে তা কিডনিকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, যদি না অতিরিক্ত পানি পানে আপনার কোনো নিষেধ না থাকে।
২. ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন গ্রহণ বাড়ান
বেশিরভাগ ব্যথানাশক আপনার শরীর থেকে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ডি ক্ষয় করে দেয়। ডাক্তারের পরামর্শের ভিত্তিতে পরিপূরক বা খাবারের মাধ্যমে সেই প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলো ডায়েটে ফিরিয়ে আনা গুরুত্বপূর্ণ।
৩. ধূমপান বা অ্যালকোহল পান করবেন না
ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করা বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন আপনি ব্যথানাশক খান, কারণ এটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াকে আরও খারাপ করতে পারে।