পুরান ঢাকার প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো সংরক্ষণ নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। ঐতিহ্য বিবেচনায় প্রায় ২২শ বাড়ি না ভাঙতে রয়েছে আদালতের নির্দেশনা। এসব ভবন মালিক তাদের স্থাপনা ভাঙা কিংবা নতুন ভবন নির্মাণ করতে পারছেন না। জরাজীর্ণ হওয়ায় বাড়ছে বসবাসের ঝুঁকি। এসব বাসিন্দাকে পুনর্বাসনেও নেই সরকারের কোনো উদ্যোগ।
আবার পুরান ঢাকার কোন বাড়িগুলোর প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব আছে বা ভাঙার বিষয়ে আইনগত বাধা আছে তা অনেক বাড়ির মালিকই জানেন না। এসব বাড়ির মালিকদের কোনো চিঠিও দেয়নি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কিংবা সিটি করপোরেশন। ফলে অনেকে পুরোনো বাড়ি ভেঙে নতুন ভবন করতে গিয়ে আইনি ঝামেলায় পড়ছেন।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ভাষ্য, ২০১২, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে পুরান ঢাকার প্রায় ২২শ বাড়ি প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ উল্লেখ করে উচ্চ আদালতে রিট করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এই রিটের আদেশে বাড়িগুলোর প্রত্নতত্ত্ব বিবেচনা করে সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে বলা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করেনি সরকারের এ প্রতিষ্ঠানটি। তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় ভবন মালিকদের নোটিশ, চিঠিও দিতে পারছে না তারা। ফলে পুরোনো বাড়ি ভাঙা ও নতুন ভবন নির্মাণে জটিলতা সৃষ্টি হয়।