বাংলাদেশকে বলা হয় এনজিওর দেশ—এমনকি পৃথিবীর এক নম্বর এনজিওর জায়গা এই বাংলাদেশে। শুরু থেকে এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে কট্টর সমালোচনা এসেছে দুই দিক থেকে। প্রথমত (প্রধানত) ক্ষুদ্রঋণ নাকি মহাজনদের মতো শোষণমূলক এবং দরিদ্রকে আরো দরিদ্র করে রাখার মোক্ষম অস্ত্র। সমালোচকদের ধারণা, এনজিওর ঋণগ্রহীতারা আধুনিক কালের ‘উপেন’, যারা ঋণ নিতে জমি বন্ধক দেয় না সত্যি, তবে নির্দ্বিধায় নিঃশেষিত হয় সুদ গুনে।
অন্যদিকে এনজিওর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সমালোচনার তীর এর সামাজিক আন্দোলনের দিকে; যথা—নারীর ক্ষমতায়ন, মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে এবং বাল্যবিবাহের বিপক্ষে ইত্যাদি। প্রথম সমালোচনায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত থাকছে প্রগতিশীল ও প্রতিক্রিয়াশীল উভয় গোষ্ঠী আর দ্বিতীয় সমালোচনায় জড়িত শুধু প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী। কেউ কেউ আবার এই দুই মেরুর মধ্যবর্তী বিন্দুতেও রয়েছে।