বৈশ্বিক বাণিজ্য ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে জলবায়ু এবং আবহাওয়া এখন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য প্রভাবকের পাশাপাশি উষ্ণায়ন ও চরম আবহাওয়া সামাল দেয়ার পদক্ষেপকে রাখতে হচ্ছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায়। এর কারণ হিসেবে সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যান সামনে আনা যায়। যেখানে বলা হয়েছে, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে গত এক দশকে বিশ্বব্যাপী ২ ট্রিলিয়ন বা ২ লাখ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
গতকাল আজারবাইজানে শুরু হয়েছে কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলন। যেখানকার কূটনৈতিক উত্তেজনা নিঃসন্দেহে আর্থিক খাতের ক্ষয়ক্ষতির হিসাবে গড়াবে। তেমন সময় প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেল।
চরম আবহাওয়া সম্পর্কিত চার হাজার ঘটনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এমন ঝড়ো বৃষ্টি যা মুহূর্তের মধ্যে বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যায় অথবা কয়েক বছর ধরে চলা খরার কারণে ধীরে ধীরে কৃষি খামার ধ্বংস হওয়ার মতো পরিস্থিতি। প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, গত দুই বছরেই চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ১০০ কোটি ডলারে।
শুধু জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আর্থিক দুর্ভোগ নয়, এ পরিসংখ্যানে চরম আবহাওয়ার পুরো খরচ তুলে ধরেছেন বিজ্ঞানীরা। এ চরম আবহাওয়ায় বিশ্বের ধনী দেশগুলোর তুলনায় দরিদ্র অঞ্চলগুলো বেশি প্রভাবিত হচ্ছে। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা দেশের হিস্যা তুলনায় কম। কপ২৯ সম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য হলো ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনীতিকে পুনর্গঠন, উষ্ণায়নের সঙ্গে অভিযোজন ও ক্রমবর্ধমান তীব্র আবহাওয়ার ক্ষতির মোকাবেলা করতে ধনী দেশগুলো কতটা অর্থ দেবে তা নিয়ে দরকষাকষি।