ব্যাপারটা এভাবে গড়াবে প্রথম প্রথম ঠাওর করতে পারেননি রফিকুল ইসলাম। বিশেষ প্রতিবেদন তৈরির চাকরিতে বিশেষভাবে নিয়োগ লাভ করেছিলেন বিশেষ একজনের দ্বারা বিশেষ এক সময়ে। সবাই জানে এটা এক ধরনের খামের চাকরি। এই খাম যে সে খাম না, ডাক বিভাগের যে খাম ব্যবহারে এখন আর তেমন গরজ নেই অনেকের; এ খাম হৃদয় অনুভূতি লুকিয়ে পাঠানোর খামও নয়, আবেগ আদান-প্রদান এখন হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইভার এমনকি ইমোতে চালাচালি চলে। এ খাম সে খামও না যে খামে অপ্রদর্শনযোগ্য অর্থ বিনিময় করেন কেউ কেউ ক্ষমতা কেনাবেচার সময়।
এ খাম হচ্ছে সাধারণ নিয়োগ নীতিমালার আওতায় নয় বিশেষ বিশেষ কাজ করার জন্য বিশেষ নিয়োগের। এক সময় নুলা ফকির দরবেশ সেজে অপরাধীদের গতিবিধির ওপর নজর রাখার জন্য এ জাতীয় চাকরি মিলত, যাকে টিকটিকির চাকরিও বলত অনেকে। আজকাল টিকটিকির কাজ করারও ভোল পাল্টাচ্ছে। এখন নানাভাবে গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ যাচাই-বাছাই চলে। ফেসবুক বা গুগল চাচা আছেন না? মোবাইল ফোনে এখন কথা রেকর্ড করা যায়, ছবি তোলা যায় সংগোপনে। একজনের মাথা আরেকজনের বডিতে লাগানোও নাকি যায়। হোমরা-চোমরাদের গ্রুপ ছবিতে দাগি আসামিকে পরে ইনসার্ট করাও যায়। কত কিছু। রঙিন পোশাকধারীরা সাদা পোশাকেও এ কাজে নামতে পারেন। কিছুদিন আগেও বিশেষ চাকরি ছিল বহুমাত্রিক।