তারেক রহমান যেভাবে ‘জনাব’ ও ‘সাহেব’ হলেন

প্রথম আলো সারফুদ্দিন আহমেদ প্রকাশিত: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৭

লোকে আপনাআপনি কারও নামের আগে ‘জনাব’ আর শেষে ‘সাহেব’ জুড়ে দিলে বুঝতে হবে, সেই লোক যে সে লোক না। বুঝতে হবে, সেই লোক নামজাদা। বুঝতে হবে, সেই লোক সম্মানিত এবং ক্ষমতাধর।


এক সময় পারস্যের শাহানশাহদের দরবারে প্রাদেশিক সিনিয়র মন্ত্রীদের আনুষ্ঠানিক টাইটেল ছিল ‘জনাব’।


আর দুই শ বছর শাসন করা বিলাতি সাহেবদের তো আমরা চিনিই। এই কারণে কারও নামের আগে ‘জনাব’, পরে ‘সাহেব’ বসালে নামটা কত ওজনদার হয়, তা আমরা বুঝি।


ধরা যাক, হাবুল নামের এক লোকের সঙ্গে বাবুল নামের আরেক লোকের সাপে-নেউলে সম্পর্ক। হাবুল বছরের পর বছর ধরে হাটে-ঘাটে-মাঠে যেখানে সুযোগ পেয়েছে, সেখানেই বাবুলকে চোরচোট্টা বলে গালি দিয়ে আসছে।


আচমকা একদিন দেখা গেল, হাবুল ভরা হাটে সবার সামনে বলছে, ‘জনাব বাবুল সাহেবের অনেক কথার সঙ্গে আমি একমত। আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাই।’


এই অবস্থায় ‘সুধী দর্শক-শ্রোতামণ্ডলীর’ ধাক্কা খাওয়া ছাড়া গতি থাকার কথা না।


পাবলিক তখন সন্দেহ করবে, হাবুল বেকায়দায় পড়ে এখন কায়দা করে বাধ্যতামূলক বাবুল-বন্দনা শুরু করেছে।


ক্ষমতাচ্যুত সরকারের ক্ষমতাচ্যুত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ গেল রোববার লন্ডনভিত্তিক ‘চ্যানেল এস’ টেলিভিশনে অজ্ঞাত স্থান থেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যেসব কথাবার্তা বলেছেন, তার সঙ্গে ওপরোক্ত হাবুল-বাবুল বিষয়ক কল্পিত কাহিনির মিল আছে।



ওই সাক্ষাৎকারে হাছান মাহমুদ খুব তমিজের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামের আগে ‘জনাব’ এবং পরে ‘সাহেব’ বসিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরও নামের আগে-পরে এই দুটি সম্মান ও সম্ভ্রমসূচক বিশেষণ জুড়ে দিয়েছেন।


তিনি বলেছেন, ‘আমি বিএনপির সাথে অনেক ক্ষেত্রে একমত।...এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সাহেব কিংবা বিএনপির মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যে বক্তব্যগুলো দিচ্ছেন, সেগুলোর অনেকগুলোর সাথে আমরা একমত।’


আওয়ামী লীগের বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে দলটির কোনো নেতা-কর্মী কিংবা কোনো সমর্থক তারেক রহমানকে প্রকাশ্যে ‘জনাব তারেক রহমান সাহেব’ বলেছেন, এমন নজির নেই।


তবে তারেক রহমানকে ‘বিশ্বচোর’, ‘দুর্নীতির বরপুত্র’ ‘রাজাকারপুত্র’ ইত্যাদি অভিধায় ‘অভিষিক্ত’ করার এত রেকর্ডপত্র ইন্টারনেটে আছে যার সব এই লেখায় উল্লেখ করা কলেবরগত কারণে সম্ভব নয়।


তবে এটুকু বলতে পারি, ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ হাছান মাহমুদ এক সভায় বলেছিলেন, ‘দেশের মানুষ ২০১৩,২০১৪ ও ২০১৫ সালে দেখেছে তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশে বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের দিয়ে নৈরাজ্য চালিয়েছিলেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশের মানুষের হাজার হাজার টাকা বিদেশে পাচার করেছিলেন দুর্নীতির এ বরপুত্র।’


‘আওয়ামী লীগকে সরিয়ে তারেককে বীরের বেশে বাংলাদেশে আনতে হবে’—বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ ওই বছরের ২৫ জুলাই তারেক রহমানকে ‘আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত চোর’ বলে গালিগালাজ করেছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us