সান্দাকফু-ফালুট বাঙালির কাছে খুব চেনা ডেস্টিনেশন। ফালুট থেকে শ্রীখোলা নামতে গেলে পার করতে হয় গোর্খে। এই গোর্খের সৌন্দর্য যত ব্যাখ্যা করা যায়, ততই কম। একপাশে সিকিম, আর অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ। মাঝ বরাবর বয়ে চলেছে খরস্রোতা গোর্খেখোলা। তার ঠিক উপরে গোর্খে গ্রাম। এই গ্রামে অনেকেই এক রাত কাটান। গাড়ি চেপে এখানে পৌঁছানোর কোনও উপায় নেই। পায়ে হেঁটেই পৌঁছতে হয় গোর্খেতে। তবে, এই গোর্খের মতোই আরও একটি গ্রাম রয়েছে, যার কথা খুব একটা আলোচনা করা হয় না। গোর্খে থেকে মাত্র ৫০০ মিটার উচ্চতায় রয়েছে সামানদেন। সে এক ছবির মতো সাজানো পাহাড়ি গ্রাম। আজকের ডেস্টিনেশন হলো এই সামানদেন।
দার্জিলিঙের ছোট্ট গ্রাম সামানদেন। যাঁরা বাংলার ট্রেকিং রুটগুলো সম্পর্কে অবগত, তাঁদের এই সামানদেন চেনা। গাড়ি করে সামানদেন যাওয়ার কোনও উপায় নেই। শ্রীখোলা থেকে রাম্মাম হয়ে সামানদেন পৌঁছানো যায়। কিংবা সিকিমের ভারেঙ থেকে গোর্খে হয়ে সামানদেন যাওয়া যায় খুব সহজে। এই দুটোই হাঁটা পথ আপনাকে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম সেরা গ্রামে নিয়ে যাবে। সিঙ্গলিলা জাতীয় উদ্যানের কোলে অবস্থিত সামানদেন। চারধার উঁচু পাহাড়ে ঘেরা। রয়েছে খোলা মাঠ, দিগন্ত। সামানদেনের জঙ্গলের ভিতরে প্রচুর হিমালয়ান পাখি ও রডোডেনড্রনের বাস। চারিদিক এতটাই শান্ত যে, এখানে গাছ থেকে শুকনো পাতার ঝরে পড়ার শব্দও শোনা যায় খুব জোরাল ভাবে।