সাজের অংশ হিসেবে নেইলপলিশ ব্যবহার করা সাধারণ বিষয়। তবে নখের আকারের ওপরে হাতের সৌন্দর্য নির্ভর করে।
আর হাত ও আঙ্গুলের সাথে নখ ছোট নাকি বড়, গোলাকার নাকি চারকোনা রাখা হবে সেদিকটা খেয়াল রাখতে হয়।
গোলাকার
নখ বেশি বড় হবে না। আঙ্গুলের মাথা থেকে একটু বড় হয়ে গোলাকার আকৃতি হবে।
নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক নখ পরিচর্যার প্রতিষ্ঠান ‘সানডেইজ’য়ের প্রতিষ্ঠাতা অ্যামি লিন রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “ছোট আঙ্গুলের ক্ষেত্রে গোলাকৃতি নখ মানানসই। নখের এই আকার আঙ্গুলে লম্বাভাব নিয়ে আসে।”
নখে এই আকার দিতে, স্বাভাবিক আকৃতির অনুসারে নখ ফাইল করতে হবে। আর নখের দুই পাশ সোজাকৃতি রেখে প্রান্তের দিকটা গোলাকার করতে হবে।
ডিম্বাকৃতি
অনেকটা কাঠবাদামের মতো করে এই নখের আকার দেওয়া হয়। নখের ওপরের অংশ এমনভাবে আকার দেওয়া হয় দেখতে অনেকটা ডিমের মতো লাগে। ছোট হাত ও খাট আঙ্গুলের অধিকারীদের জন্য এই আকার সামঞ্জস্যপূর্ণ।
নেইল পলিশ তৈরির প্রতিষ্ঠান ‘কোট’য়ের সহকারী প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ম্যারি লেনন এই বিষয়ে বলেন, “নখের এই আকার দিলে খাট আঙ্গুল দেখতে লম্বা লাগে।”
ওভাল বা ডিম্বাকৃতির নখ করতে নখের প্রান্তভাগ খানিকটা লম্বা রেখে দুপাশ থেকে ফাইল করে ডিমের মতো আকার দিতে হবে।
বর্গাকার
নখের দুপাশ সোজা রেখে ওপর বা প্রান্তের দিকটা সমান করে দিতে হবে।
নখে চারকোনা আকৃতির কারণে হাত ও আঙ্গুল দেখতে খাটো লাগে।
এজন্য পেশাদার মার্কিন নখ নকশাকর চেলসিয়া কিং বলেন, “যাদের আঙ্গুল সরু ও লম্বা তাদের জন্য বর্গাকৃতি নখ মানানসই হয়।”
নখ লম্বা করে প্রান্তের দিকটা ফাইলিং দিয়ে সমান করে এই আকার দেওয়া যায়।
স্কুভাল
অর্থাৎ ‘স্কয়ার’ এবং ‘ওভাল’ আকৃতির সংমিশ্রণে এই আকার দেওয়া হয়।
কিং বলেন, “এই আকার রক্ষণাবেক্ষণ করা সহজ। কারণ বেশিরভাগেরই প্রাকৃতিকভাবে এই আকৃতিতে নখ বড় হয়।”
এই আকৃতি করার জন্য প্রথমে, নখ ‘নেইল ক্লিপার’ দিয়ে ছোট করে চারকোনা আকৃতি দিতে হবে। তারপর নেইল ফাইল দিয়ে দুপাশের কোনা গোলাকৃতি করতে হবে।
যে কোনো আঙ্গুলের জন্যই এই আকার মানানসই।