সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রধান দায়িত্ব দেশের উন্নয়ন ও জনগণের সেবা নিশ্চিতের জন্য কাজ করা। কিন্তু সেই দায়িত্ব ভুলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা ব্যস্ত থাকেন অনিয়ম-দুর্নীতি, লুটপাট ও ক্ষমতার দাপটে পদোন্নতি বাগিয়ে নেওয়ার অসম প্রতিযোগিতায়! এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক এক মন্ত্রীর মদদপুষ্ট একটি সিন্ডিকেট। প্রভাব খাটিয়ে তারা অধিদপ্তর, জেলা ও থানা পর্যায়ে দায়িত্ব নিজেদের কবজায় রাখা, চুক্তিতে সমিতির নির্বাচন, নিয়োগ-বাণিজ্য, নিয়মবহির্ভূতভাবে পদ সৃষ্টি, ঘুষের বিনিময়ে পদোন্নতি, উন্নয়নের নামে সমিতির কোষাগারশূন্য, জাল সনদে চাকরি নেওয়াসহ বহুবিধ অপকর্ম করেও আছেন বহাল তবিয়তে। সবকিছু জেনেও হেলদোল নেই অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শরিফুল ইসলামের। সিন্ডিকেটের সদস্যদের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধেও। তাই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরও নেওয়া হয় না কোনো ব্যবস্থা।
বরং অনিয়মের প্রতিবাদ করায় অনেককে বছরে দুই থেকে তিনবার বদলি করে হয়রানি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের আশীর্বাদপুষ্টরাই ঢাকার ভেতরে পোস্টিংসহ সব সুযোগ-সুবিধা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েও সুফল মেলেনি।