নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য সরকার ৮ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করেছে। ৩ অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বিদ্যমান নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে কমিশন গঠন করা হয়েছে।
কমিশনের প্রধান হচ্ছেন ড. বদিউল আলম মজুমদার। অন্যান্য সদস্য হচ্ছেন-ড. তোফায়েল আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন ব্যবস্থা, ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিশেষজ্ঞ জেসমিন টুলী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ড. জাহেদ-উর রহমান, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বিশেষজ্ঞ মীর নাদিয়া নিভিন, ইলেকট্রনিক ভোটিং ও ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস ও একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি। কমিশনে যারা আছেন তাদের যোগ্যতা ও এ কাজে তাদের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ড. বদিউল আলম মজুমদার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়েই দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। ড. তোফায়েল আহমেদ যদিও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ; কিন্তু তিনিও একইভাবে নির্বাচন নিয়ে কাজ করছেন দীর্ঘসময়। বাকি সদস্যরাও নির্বাচন ব্যবস্থার সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত। ডা. জাহেদ গণতন্ত্র ও সুশাসন নিয়ে কাজ করেন। আছেন শিক্ষার্থী প্রতিনিধিও। আশা করি, সরকারের প্রত্যাশা অনুযায়ী ৩ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে কমিশন এ সংক্রান্ত্র একটি প্রস্তাব সরকারকে দিতে পারবে।
দেশের প্রধান সংকট রাজনৈতিক। এ সংকটের আবার প্রধান বিষয় নির্বাচন নিয়ে। স্বাধীনতার পর থেকেই এ সংকটের শুরু। ৫৩ বছর পরও নির্বাচনি সংকটের উত্তরণ হয়নি। ফলে আমাদের রাজনৈতিক সংকটও কাটছে না। আমাদের গণতন্ত্র আজও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। নির্বাচন হলেই যে গণতন্ত্র ঠিক হয়ে যাবে তা নয়, তবে নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র হতে পারে না। আর ঠিকঠাকভাবে নির্বাচন হলে গণতন্ত্র ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়, শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়ায়। আমাদের নির্বাচন, রাজনীতি ও গণতন্ত্র নড়বড়ে।