ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পালাবদল ঘটল। নতুন সরকার দায়িত্ব নিল। কী পরিবর্তন হলো বলে মনে করেন?
আন্দালিব রহমান পার্থ: রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন ঘটেছে। এখন আমরা নির্ভয়ে রাজনীতি করতে পারি। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিকে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব ছিল। বর্তমানে সেই দূরত্বটা কমে এসেছে। রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করছেন। ১৯ অক্টোবরও (শনিবার) আমরা আমাদের কথা বলেছি।
রাষ্ট্র সংস্কারে সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। এই কমিশন সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
আন্দালিব রহমান পার্থ: ভালো হতো, কমিশন গঠনের পর সরকার যদি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করত। তারা রাজনৈতিক দল ও কমিশনের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করতে পারত। সে ক্ষেত্রে কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা রাজনীতিকদের মনোভাব সহজে জানতে পারত। আমরাও আমাদের মনোভাব জানাতে পারতাম। মনে রাখতে হবে, সংস্কার এটি চলমান প্রক্রিয়া।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে আপনি ১৫ আগস্ট সম্পর্কে যে মত দিয়েছিলেন, তা অন্যদের থেকে ভিন্ন ছিল।
আন্দালিব রহমান পার্থ: আমরা বলেছি, ১৫ আগস্টকে যথাযথ সম্মান দেওয়া উচিত। ১৯৭১ সালের আগের ও পরের আওয়ামী লীগ এক নয়। ইতিহাসে যার যেটুকু প্রাপ্য, সেটুকু দিতে হবে।
সংবিধান সংশোধন না পুনর্লিখন—এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। আপনাদের অভিমত কী?
আন্দালিব রহমান পার্থ: সংবিধান পুনর্লিখন একটি বড় বিষয়। বড় কাজ করার জন্য জনগণের ম্যান্ডেট প্রয়োজন। আমরা মনে করি, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনেরও গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য যেটুকু সংস্কার অপরিহার্য, সেটুকু কমিশনের করা উচিত। বাকি কাজটা করবে নির্বাচিত সরকার।
ভোটব্যবস্থা নিয়েও নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। কোনো কোনো দল বর্তমান ব্যবস্থার পক্ষপাতী, আবার অনেক দল আনুপাতিক ভোটের পক্ষে। আপনি কী বলবেন?
আন্দালিব রহমান পার্থ: এটাও নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। আমাদের এখানে দীর্ঘদিন ওয়েস্টমিনস্টার ধারা চলে এসেছে। এটা পরিবর্তন করতে হলে জনগণের ম্যান্ডেট নেওয়া প্রয়োজন। আনুপাতিক হারে ভোট করার আগে ভোটারদের সচেতন করতে হবে।