চোখের পাতার টিস্যুর গঠন এবং পেশী দুর্বল হয়ে গেলে সেখানকার ত্বক ঝুলতে শুরু করে। তখন চোখের নিচের স্থানটি তরল সংগ্রহ করে যার ফলে দেখা দেয় ফোলাভাব। ফোলা চোখ সাধারণত অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের লক্ষণ যেমন পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, ধূমপান বা ডিহাইড্রেশন। এটি তরল ধারণ, বার্ধক্য বা কিডনি রোগের কারণেও ঘটতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-
১. ঘুমের অভাব
ফোলা বা ঝাপসা চোখের পেছনে একটি প্রধান কারণ হলো ঘুমের অভাব। দীর্ঘ স্ক্রিন টাইম বা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা এই অবস্থার কারণ হতে পারে। সারা রাত জেগে পড়ালেখা করলে শিক্ষার্থীদেরও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘুমের অভাব অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং এটি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ২০১৩ সালে জার্নাল অফ স্লিপে প্রকাশিত একটি গবেষণায় চেহারার ওপর ঘুমের অভাবের প্রভাব উল্লেখ করা হয়েছে।
২. কান্না করলে
আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, যখন খুব বেশিক্ষণ কাঁদেন, তখন চোখ ভারী হতে শুরু করে বা ক্লান্ত হয়ে পড়ে, এর কারণে দেখা দেয় ফোলাভাব। কান্নাকাটি এবং চোখ ঘষার কারণে জ্বালা এবং প্রদাহ হতে পারে, যার ফলে চোখ ফুলে যায়। জার্নাল অফ ইমোশনাল সাইকোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় স্বাস্থ্য এবং চেহারার ওপর কান্নার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।