সুদর্শন নারী রূপে হাজির হন তিনি। তাতেই এশিয়াজুড়ে অনেক পুরুষের মনে ঠাঁই করে নেন। তাঁদের সঙ্গে আলাদা ভিডিও কলে কথা বলেন ওই ‘নারী’। কথার জালে আটকে ফেলেন ভালোবাসার ফাঁদে।
হংকংয়ের পুলিশ বলছে, এসব পুরুষ সত্যিকারের কোনো নারীর প্রেমে নন; বরং ‘ডিপফেক রোমাঞ্চ কেলেঙ্কারি’র ফাঁদে পড়েছেন। ডিপফেক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সহায়তায় ওই ভিডিও তৈরি করেছে একটি অপরাধী চক্র। আর ফাঁদে পড়া পুরুষদের কাছ থেকে তারা হাতিয়ে নিয়েছে ৪ কোটি ৬০ লাখ ডলারের বেশি (টাকার হিসাবে প্রায় ৫৫২ কোটি)।
ছবি বা ভিডিওকে বিকৃত ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে নিখুঁতভাবে তৈরি করে হুবহু আসলের মতো বলে প্রচার করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রযুক্তির জগতে ‘ডিপফেক’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এসব ভিডিওতে কোনো ব্যক্তিকে এমন কথা বলতে শোনা যায়, যা তাঁরা বলেননি। এমন কাজ করতে দেখা যেতে পারে, যা তাঁরা করেননি। ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় বিকৃত করা এসব ভিডিও কনটেন্ট প্রচলিত টেক্সট ও বিকৃত করা ছবির চেয়েও মারাত্মক। এসব ভুয়া ভিডিও ও তথ্য মানুষকে বেশি টানতে পারে।