অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, খুনের মামলার আসামি ও তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি—এই তিন শ্রেণির মানুষকে সব সময় নিজের আশপাশে রাখতেন কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহার। যে কারণে মানুষ তাঁকে ভয় পেত। এর মধ্য দিয়ে কুমিল্লা শহর ও আশপাশের এলাকার রাজনীতি ও অপরাধ—দুটোই নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। তাঁর দাপট এতটাই ছিল যে আওয়ামী লীগের নেতারাও এখন বলছেন, কুমিল্লা শহরে কোনটি ‘ন্যায়’ আর কোনটি ‘অন্যায়’, সেটিও তিনি ঠিক করতেন। তিনি যেন কুমিল্লায় দুর্বৃত্তায়নের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।
গত ১৫ বছরে আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার নিজের অনুসারী ও ঘনিষ্ঠজনদের দলীয় বিভিন্ন পদে বসিয়েছেন। তাঁদের অনেককে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছেন। জ্যেষ্ঠ নেতাদের বঞ্চিত করে নিজের মেয়ে তাহসীন বাহারকে প্রথমে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক করেন। গত মার্চ মাসে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তাহসীনকে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।
তবে মেয়র হলেও তাহসীন বেশি দিন দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাবা বাহারের সঙ্গে তিনিও পালিয়ে যান। কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার প্রথম সংসদ সদস্য হন ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এর পর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আরও তিনবার কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা সেনানিবাস) আসনের সংসদ সদস্য হন তিনি।