সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে অনুমোদিত চিকিৎসকের পদ রয়েছে ৫৬টি। এর মধ্যে ৩৮টি পদে চিকিৎসক কর্মরত। বাকি ৪৩ শতাংশ পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানিটির অন্যান্য পদেও জনবল ঘাটতি রয়েছে। ২০১৪ সালে ১০০ থেকে বাড়িয়ে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার পর থেকে মূলত জনবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ কারণে কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবাও মিলছে না বলে দাবি করেন রোগীরা।
সদর উপজেলার সয়দাবাদ গ্রামের আদর বাবু ২৮ আগস্ট অসুস্থ দাদির চিকিৎসার জন্য আসেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে। পঞ্চম তলায় মেডিসিন বিভাগের নারী ওয়ার্ডে শয্যা খালি না থাকায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত ৬৫ বছর বয়সী মরিয়ম বেগমও অনেকটা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। ওয়ার্ড বয় না থাকায় নার্সরা রোগীকে একটি বেড দিতে ছোটাছুটি করেন। অবশেষে মেঝেতেই চিকিৎসাসেবা দেয়া শুরু করেন চিকিৎসক। আদর বাবু বলেন, ‘হাসপাতালে দাদিকে ভর্তি করা হলেও কোনো বেড পাওয়া যায়নি। পরে মেঝেতে বেড করে দেয়া হয়েছে।’
মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. মৃদুল ভৌমিক বলেন, ‘মেডিসিন বিভাগের নারী ওয়ার্ডে অনুমোদিত শয্যা রয়েছে ২৯টি। কিন্তু প্রতিদিন গড়ে ৪০-৪৫ জন রোগী ভর্তি থাকছেন। এ কারণে বাধ্য হয়ে রোগীদের মেঝেতে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। তবে সবাই মিলে সামর্থ্য অনুযায়ী রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছি।’
শুধু মেডিসিন বিভাগের নারী ওয়ার্ডেই নয়, হাসপাতালের আটটি ওয়ার্ডের একই অবস্থা। ওয়ার্ড বয়, নার্স ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসক এবং জনবলের অভাবে ভোগান্তিতে পড়ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।