ছাত্র-জনতার গৌরবগাথায় সমুজ্জ্বল জুলাই ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান। ফলস্বরূপ, শান্তিতে নোবেলজয়ী বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে অধিষ্ঠিত। বিগত সরকারের সবরকম অসংগতিকে সমূলে উৎপাটন করে নতুন চেতনায় সমৃদ্ধ দেশ প্রতিষ্ঠায় তার প্রতিশ্রুতি সুস্পষ্ট। স্বল্প সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্র সংস্কারে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পন্থাগুলো চিহ্নিত করে অন্তর্বর্তী সরকার প্রশংসিত হয়েছে।
এ ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন কমিশন গঠনের মাধ্যমে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রদেয় সুপারিশগুলো কার্যকর করে টেকসই ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের অঙ্গীকার সর্বত্রই সমাদৃত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় প্রতিটি ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিবর্তন-পরিমার্জন-সংশোধনের লক্ষ্যে নিয়মনীতির যথাযথ বাস্তবায়ন প্রত্যাশিত। ইতোমধ্যে নির্বাচনব্যবস্থা, সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সংস্কারে স্বাধীন কমিশন গঠন করা হয়েছে। সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম সংস্কারের জন্যও পৃথক কমিশনসহ আরও কয়েকটি বিশেষ কমিশন গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সচলতায় ব্যাংক ও আর্থিক খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আশাজাগানিয়া। দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি আমানতকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ অবশ্যই ইতিবাচক। বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ঋণ নেওয়াসহ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তার আশ্বাস ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে।