গানের সুরে জীবনটা বাঁধতে আশির দশকের শুরুর দিকে যাত্রা শুরু করেছিলেন জেমস। আজও দেশ-বিদেশে ছুটছেন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটা দেশ এ বছর মাতিয়েছেন। তাঁর একটা গানের কথা এ রকম, ‘চোরা সুরের টানে রে বন্ধু,/ মনে যদি ওঠে গান,/ গানে গানে রেখো মনে/ ভুলে যেয়ো অভিমান...।’ ফলে ‘আপনি কেন নিজেকে আড়ালে রাখেন?’ এই প্রশ্ন করতে গেলেও অভিমানটা গিলে ফেলতে হয়। নিজের চরিত্রের এই দিকটা নিয়ে জেমস প্রথম আলোর এই প্রতিবেদককে ব্যাখাটা দিয়েছিলেন এ রকম, ‘একা থাকতে পছন্দ করি। তখন হয়তো নিজের মতো ভাবি, ভাবতে ভালো লাগে। চুপচাপ থাকলে কোনো একটা বিষয় নিয়ে ফোকাসড থাকা যায়। তবে আমি তো গানের জন্য সব সময়ই অ্যাভেইলেবল। দেশে এবং দেশের বাইরে স্টেজ শো করছি নিয়মিত। আমি নিজের মতো করে কাজ করতে পছন্দ করি। বাড়তি আড্ডা দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি না।’
জেমসের ছেলেবেলা কেমন কেটেছে, তা নিয়ে সবার প্রবল আগ্রহ। তাই প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনি তো গানে গানে বলেছেন, “মোরা শাসন মানি না, বারণ শুনি না, করি টালবাহানা, করি নানা ছলনা...।” আসলেই কি তেমনটা ছিলেন?’ জেমস স্মৃতিকাতর হয়েছিলেন কি না, বোঝা গেল না, প্রশ্ন শুনে কেবল বলে গেলেন, ‘ছোটবেলা থেকে সাঁতারে ভীষণ ঝোঁক ছিল। বেশ ভালো সাঁতরাতেও পারতাম। দুরন্ত আমি বন্ধুদের নিয়ে আশপাশের পুকুরে সাঁতার কাটতাম। নওগাঁয় থাকতে ১০-১২ বছর বয়সে সাঁতার কাটতে চলে যেতাম নদীতে। বেশ কয়েকবার তো সাঁতরে মাঝনদীতেও চলে গিয়েছিলাম! এখন তো আর নদীতে সাঁতার কাটার সুযোগ নাই...।’