নানি দাদি বা মায়ের হাতে তৈরি বিভিন্ন রকম আচার তো খাওয়া হয়েছে। তবে গোলাপি ডিমের আচার খেয়েছেন- এরকম মানুষের সংখ্যা সম্ভবত খুব কম।
এই আচারের রেসিপি দিয়েছেন সৌখিন রন্ধনশিল্পী সায়মা সিদ্দিকা।
তিনি বলেন, “শত বছর আগের মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ডিম সংরক্ষণ করে খাওয়ার জন্য এই আচার বানানোর পদ্ধতি চালু করেন।”
খুব সহজ এই গোলাপি ডিমের আচার তৈরির পদ্ধতি।
উপকরণ
- ৬টি ডিম (শক্ত সেদ্ধ এবং খোসা ছাড়ানো)
- ২টি বিট (টুকরা করে কাটা)
- আধা কাপ ভিনেগার (সাদা বা অ্যাপল সাইডার)
- আধা কাপ পানি
- ১/৪ কাপ চিনি
- ১ চা-চামচ লবণ
- ৯-১০ কোঁয়া রসুন
- ১টি গাজর, টুকরা করে কাটা
- ১টা পেঁয়াজ বড় টুকরা করে কাটা
- ৩-৪টি শুকনা মরিচ
- ২-৩টি বোম্বাই মরিচ (ঐচ্ছিক)
- ১ চা-চামচ আচার মসলা (ঐচ্ছিক)
পদ্ধতি
- একটি সসপ্যানে বিট, ভিনেগার, পানি, চিনি, লবণ এবং আচারের মসলা মিশিয়ে নিন। মাঝারি আঁচে চিনি মিলিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
- ফুটে উঠলে মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য নামিয়ে রাখুন।
- খোসা ছাড়ানো শক্ত-সিদ্ধ ডিম একটি পরিষ্কার বয়ামে রাখার সময় সাথে গাজর, পেঁয়াজ, মরিচ এবং রসুন এক সাথে মিশিয়ে রাখুন।
- এবার ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া ভিনেগার-বিটের মিশ্রণটি বয়ামের ডিমের ওপর ঢেলে দিন, যেন সেগুলো পুরোপুরি ডুবে যায়।
- বয়ামটি ভালো ভাবে বন্ধ করে ঘরের তাপমাত্রায় অথবা ফ্রিজে রাখতে পারেন।
- সর্বোত্তম স্বাদের জন্য ডিমগুলোকে কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে দ্রবণে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এক মাস পর্যন্ত রেখে খাওয়া যেতে পারে এই আচার।
- গোলাপি এই ডিমের আচার সালাদে বা ‘গার্নিশ’ হিসেবে পরিবেশন করে খেতে পারেন।