পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধানসহ সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেছেন বাহারুল আলম। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ সদর দপ্তরের শান্তি রক্ষা বিভাগে পুলিশ লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের সিনিয়র পুলিশ অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করেন। এর আগে ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া, কসোভো ও সিয়েরা লিওনে দায়িত্ব পালন করেন। দুই দফা পদোন্নতিবঞ্চিত এই কর্মকর্তা ২০২০ সালে অবসরে যান। পুলিশের বর্তমান ভঙ্গুর অবস্থার কারণ এবং সংস্কারের নানা দিক নিয়ে তিনি কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান।
প্রথম আলো: ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশে পুলিশি ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসে। কনস্টেবল থেকে আইজিপি পর্যন্ত সব পুলিশ একযোগে আত্মগোপনে চলে গেল। এমন পরিস্থিতি কেন তৈরি হলো?
বাহারুল আলম: আমাদের ইতিহাসে তো নয়ই, পৃথিবীর কোথাও এমন হয়েছে কি না, আমার জানা নেই। কর্তব্যের জায়গা ফেলে দিয়ে পুলিশের সবার চলে যাওয়া—এটা এমনই নির্দেশ করে যে পুরো বাহিনীর মধ্যে একটা ‘জেনারেল সেন্স অব ফিয়ার’ চলে গিয়েছিল। এই ভীতিটা এমন পর্যায়ে ছিল যে তারা প্রকাশ্যে আসতে পারেনি। কেউ কেউ অতীতে এমন খারাপ কর্মকাণ্ড করেছিল যে সমাজের সামনে দাঁড়াতেই সাহস পাচ্ছিল না। তারা ভেবেছিল যে আত্মগোপনে চলে না গেলে তাদের ওপর আঘাত আসবে। ক্ষুব্ধ জনতার আঘাত এসেছিলও।