ইসলামপন্থী কয়েকটি দলের সঙ্গে ‘নির্বাচনী ঐক্য’ গড়ে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়ার চিন্তা করছে জামায়াতে ইসলামী। এ লক্ষ্যে দলটি ইতিমধ্যে অন্তত পাঁচটি ইসলামি দল এবং আলেমদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছে। জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির সঙ্গে বনিবনা হওয়ার সম্ভাবনা কম—এমনটা ধরে নিয়ে দলের নীতিনির্ধারণী নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের সঙ্গে একটি নির্বাচনী ঐক্য গড়তে চাইছেন। যদিও তা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো রূপ নেয়নি।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে প্রায় সাড়ে ১৫ বছর পর স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রমে ফিরেছে ধর্মভিত্তিক দল জামায়াতে ইসলামী। এই মুহূর্তে দলটি সারা দেশে ঘরোয়া কার্যক্রমে ব্যস্ত। তবে দীর্ঘদিনের ‘ফেরারি’ অবস্থান থেকে হঠাৎ করে রাজনীতির সম্মুখভাগে আসা জামায়াতকে নিয়ে অনেকের মধ্যে নানা আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দলটির শীর্ষ নেতৃত্বের কিছু বক্তব্য ও তৎপরতায় কিছুটা সংশয়-সন্দেহ তৈরি করেছে বিএনপিতে। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ও নির্বাচন প্রশ্নে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির নেতৃত্বের দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে। দল দুটির সাম্প্রতিক তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করে তাঁরা বলছেন, এটি এখন অনেকটা স্পষ্ট যে বিএনপি সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন চায়। এ ক্ষেত্রে জামায়াতের গতি কিছুটা ধীর। তারা দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের চেয়ে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। এ জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় সময় দিতে আগ্রহী জামায়াতের নেতৃত্ব। দল দুটির এই ভিন্ন অবস্থান আগামী দিনের রাজনীতি ও নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।