শান্তির সংস্কৃতি চর্চা সমুন্নত রাখতে হবে

জাগো নিউজ ২৪ ড. মতিউর রহমান প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:২৪

প্রতি বছর ২১শে সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালিত হয়, যা ব্যক্তি, সমাজ ও জাতিগুলিকে শান্তি ও সৌহার্দ্য গড়ে তোলার আহ্বান জানায়। এই দিনটি জাতিসংঘের প্রাথমিক মিশনকে স্মরণ করিয়ে দেয়: শান্তির প্রচার, সংঘাত প্রতিরোধ এবং জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করা, যাতে বৈশ্বিক শান্তি স্থাপন করা যায়।


১৯৮১ সালে এই দিবসটি প্রথম প্রবর্তিত হয়েছিল, এবং সময়ের সাথে সাথে এটি বিশ্বব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে, যেখানে শান্তি, ন্যায়বিচার ও মানব মর্যাদার মূল্যবোধকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়।


আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের ইতিহাস ১৯৮১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রথম গৃহীত হয়, যার মূল লক্ষ্য ছিল শান্তি ও ঐক্যের আদর্শকে উদযাপন করা। প্রথমদিকে, দিনটি সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের শুরুতে পালন করা হতো, যা সাধারণত সেপ্টেম্বরের তৃতীয় মঙ্গলবারে হত।


তবে, ২০০১ সালে সাধারণ পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে ২১শে সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস হিসেবে স্থির করার সিদ্ধান্ত নেয়, দিনটি পালনের জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করে এবং এটিকে অ-হিংসা ও যুদ্ধবিরতির দিন হিসেবে ঘোষণা করে। এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে বাড়তে থাকা সচেতনতা প্রতিফলিত করেছিল যে, শান্তি শুধু যুদ্ধের অনুপস্থিতি নয়, বরং এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যা সক্রিয় অংশগ্রহণ, আলোচনা এবং সহযোগিতা প্রয়োজন।



প্রতিবছর জাতিসংঘ একটি থিম নির্বাচন করে যা বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ এবং আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ২০২৪ সালের জন্য থিমটি হলো "শান্তির সংস্কৃতি চর্চা" (Cultivating a culture of peace), যা গভীর তাৎপর্য বহন করে।


চলমান সংঘাত, রাজনৈতিক বিভাজন ও সামাজিক অস্থিরতার মুখোমুখি থাকা একটি বিশ্বে, এই থিমটি দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে শান্তির গুরুত্বকে তুলে ধরে। এটি মানুষকে সহানুভূতি, সহনশীলতা এবং বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য উৎসাহিত করে এবং সকলের জন্য শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়বিচারমূলক সমাজ গড়ে তোলার জন্য সচেতন পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়, যেখানে প্রতিটি মানুষ সম্মানের সাথে বাঁচতে পারে।


“শান্তির সংস্কৃতি” ধারণাটি ১৯৮০-এর দশকে প্রথম বিকশিত হয়েছিল, যেখানে শিক্ষা, টেকসই উন্নয়ন, মানবাধিকার, সমতা এবং সংলাপের মাধ্যমে শান্তির প্রসার ঘটানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। জাতিসংঘ ১৯৯৯ সালে শান্তির সংস্কৃতি সম্পর্কিত ঘোষণাপত্র ও কর্মসূচি গ্রহণ করে, যা শান্তি কেবল সরকারগুলির মধ্যে চুক্তি বা শত্রুতার অবসান নয়, বরং এটি সমাজের সকল স্তরে-পরিবার, বিদ্যালয়, কর্মক্ষেত্র এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে লালন করতে হবে বলে উল্লেখ করে। ২০২৪ সালের থিমটি এই দৃষ্টিভঙ্গিকে পুনরুজ্জীবিত করে, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে শান্তির বীজ বপনের আহ্বান জানায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us