৩১ আগস্ট নিজ বাসভবনে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বর্তমান কর্মযজ্ঞ নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার প্রেক্ষাপট ছিল দেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা। তবে আমি এই লেখায় পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের ব্যাপারেই শুধু বলব।
শিক্ষা উপদেষ্টা সেদিন বললেন, ‘আগামী বছরে আবার নতুন পুস্তক দিতে হবে। তার জন্য এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে এগুলো প্রেসে না দিই, বাংলাদেশে যত প্রেস আছে, ২৪ ঘণ্টা কাজ করলেও সেগুলো যথাসময়ে পাওয়া যাবে না।’ তাঁর জন্য তখন আমার রীতিমতো খারাপই লাগছিল। সদ্য বাতিল হওয়া শিক্ষাক্রমে কাজ করার সময় দেখেছি প্রতিবছরই আগস্ট মাস হলে সব ধরনের কাজের চাপ রাতারাতি কয়েক গুণ বেড়ে যেত। গত চার বছরের প্রতিটিতেই আমরা বছরের শুরু থেকে কাজ করতাম। তারপরও বছরের শেষের দিকে এসে এর সঙ্গে জড়িতরা ঘুমানোরও সময় পেতেন না। আর এখন তো সরকারকে বেশ বড়সড় নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। কাজেই এবার এই কর্মযজ্ঞ অকল্পনীয় রকমের কঠিন হয়ে যাবে। শিক্ষা উপদেষ্টা যে মাত্র ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পাণ্ডুলিপি প্রেসে পাঠানোর বাধ্যবাধ্যকতার কথা বলেছেন এটি খুবই সত্যি কথা। এত চাপের মধ্যে থেকেও তিনি পাঠ্যপুস্তকের ছাপার মান ভালো করার কথা ভাবছেন দেখে ভালো লাগল।