বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। বিশেষ করে ব্যাংকগুলোকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসাবে ব্যবহার করে অনিয়মের মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা বের করে নিয়েছেন হাতেগোনা কয়েকজন দুষ্ট ব্যবসায়ী। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক খাত সংস্কারে গভর্নরের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কি সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে মার্কিন প্রতিনিধিদল। জবাবে গভর্নর জানিয়েছেন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া ব্যাংক খাত সংস্কার সম্ভব নয়। রোববার সন্ধ্যায় উচ্চপর্যায়ের একটি মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এসব বিষয় উঠে আসে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের সহকারী সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান এ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধিদলের অন্যরা হলেন-সহকারী মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ, উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর এবং মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের পরিচালক জেরোড ম্যাসন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা যুগান্তরকে বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদল দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা জানতে চেয়েছে। কিভাবে এটার উন্নতি করা হবে এবং অর্থনীতির অবস্থা আর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চান তারা। পাশাপাশি দেশের আর্থিক খাত সংস্কারে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কি সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। এ সময় জবাবে গভর্নর বলেছেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা যদি থাকে তাহলে ব্যাংক খাত সংস্কার সম্ভব। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে যদি হস্তক্ষেপ করা হয় তাহলে এই অবস্থার উন্নতি করা সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে সংস্কারের সময় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।