ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের পিতাকে গগনচুম্বী করে তুলবার যে সকল কৌশলের উদ্ভাবনা ও প্রয়োগে অবিশ্রাম লিপ্ত ছিলেন, সেগুলোর মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই পরলোকগত পিতার দ্বিতীয় মৃত্যুটি ঘটালেন। লোকে বলাবলি করছে, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর একটি অংশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে; ৪৯ বছর পরে তাঁর নিজের কন্যা তাঁকে দ্বিতীয়বার হত্যা করলেন। সেবার নিহত হয়েছিলেন নেতা বঙ্গবন্ধু, এবার নিহত হলেন ব্যক্তি শেখ মুজিব।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের কাজটা শুধু যে মৌলবাদীরা ঘটিয়েছে, তা নয়। সাধারণ মানুষও হাত লাগিয়েছে; কারণ তাদের ক্ষোভ ও ক্রোধ পুঞ্জীভূত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকন্যার ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন অসংখ্য মামলা দেওয়া হচ্ছে। উৎসবের মতো ঘটনা, যে উৎসব আগে চলছিল আওয়ামী লীগের শাসনকালে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে পিতৃহত্যার মামলাটা কেউ করবেন না; যদিও সবচেয়ে নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড ছিল ওটিই; এবং ঘটেছিল তাঁর ব্যক্তিগত তৎপরতায়।