তাহলে কমলাই পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট!

প্রথম আলো মোস্তফা তানিম প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪

বিতর্ক একটা কঠিন ব্যাপার। অল্প সময়ে ভারসাম্য না হারিয়ে, নিজেকে বা প্রতিপক্ষকে নয়, দর্শক-শ্রোতাকে বোঝাতে হবে। এ বিষয়ে সবাই পটু নন।


যিনি যত বড় জ্ঞানী অথবা বড় নেতা হোন, বিতর্কে হেরে যেতে পারেন। কমলা হ্যারিসের ব্যাপারে অনেকেই তাই ভেবেছিলেন। যাঁরা একেবারে তাঁর ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থক, তাঁরাও সন্দিহান ছিলেন। মনে করা হচ্ছিল, দুজনের মধ্যে জেতার ফিফটি ফিফটি চান্স।


ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে একটা ভালো খবর থাকায় হ্যারিস সমর্থকেরা আরেকটু সন্দিহান ছিল। এক জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্প পপুলার ভোটে এক পয়েন্ট এগিয়ে আছেন।


কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প সর্বশেষ প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেটে অপ্রত্যাশিতভাবে ধরাশায়ী। এক জরিপে বলছে, ৬৩ ভাগ দর্শক মনে করেন বিতর্কে হ্যারিস জিতেছেন।


প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ দেখেছেন এই বিতর্ক। এর একটা প্রভাব তো রয়েছেই।


অনেকের মতে, আজকের বিতর্কই নির্ধারণ করবে নভেম্বরের নির্বাচনে কে জিতবেন।
তাহলে হ্যারিস ক্যাম্পের জন্য খুবই খুশির খবর। এতই খুশির যে হ্যারিস ক্যাম্প তড়িঘড়ি আরেকটা বিতর্কের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।


এখন দেখা যাক ট্রাম্প এই খেলা, যে খেলায় তিনি নিজেকে খুবই দক্ষ মনে করতেন, সেটা আরেকবার খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেন কি না।


আজকের বিতর্কে ট্রাম্প অনেকগুলো ভুল তথ্য দিয়েছেন। তার কয়েকটির ক্ষেত্রে সঞ্চালকই বলতে বাধ্য হয়েছেন, এটি সত্য নয়। এগুলোর মধ্যে একটা এতই অযৌক্তিক যে সেটা সত্য তো দূরের কথা, ঘটাই সম্ভব নয়।


ট্রাম্প দাবি করেছেন, আমেরিকায় কিছু স্টেটে সন্তান জন্মদানের পরও গর্ভপাত করা হয়। এ কীভাবে সম্ভব! জন্মের পরে শিশুকে মেরে ফেললে সেটাকে তো গর্ভপাত বলা হবে না। সেটা হবে হত্যা!



যা হোক, যাঁরা ট্রাম্পকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন, তাঁরা জানেন, এমন কথাবার্তা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষেই বলা সম্ভব।


এ কথা শুনেই আমার একটা বহু পুরোনো এক পুঁথির পঙ্‌ক্তি মনে হলো, ‘ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিল’। ঘোড়ায় চড়ে যদি একজন একই সঙ্গে হেঁটে যেতে পারে, তাহলে হয়তো শিশুর জন্মের পরেও অ্যাবরশন সম্ভব।


আরও কতগুলো ব্যাপার ট্রাম্পের পক্ষে যাবে না। যেমন তিনি বলছেন, অবৈধ অভিবাসীরা ওহাইওর স্প্রিংফিল্ড শহরে মানুষের পোষা কুকুর-বিড়াল খেয়ে ফেলছে। এই অভিবাসী যদি স্প্যানিশরা হন, যেটা তিনি দাবি করছেন, তাহলে তো সবাই জানে, তাঁরা তো কুকুর-বিড়াল খান না!


অযথা কিছু মানুষকে অত্যন্ত খারাপ হিসেবে দেখাতে গিয়ে তিনি অবান্তর একটা প্রসঙ্গ টেনেছেন।


এ ক্ষেত্রেও সঞ্চালক বলেছেন, এ ঘটনা সত্য নয়।


তখন আমার সেই পুঁথির পরের পঙ্‌ক্তির কথা মনে হলো। ‘কিছু দূর গিয়া মর্দ রওয়ানা হইল’।


তাঁর আরেকটা বড় বক্তব্য ছিল, অন্য দেশে, যেমন ভেনেজুয়েলাতে অপরাধ কমে যাচ্ছে। কারণ সেখান থেকে অপরাধীরা সব আমেরিকায় চলে আসছে। এ ধরনের সব খোঁড়া এবং অবান্তর যুক্তি তাঁর। অনেকটা গুজবের মতো। তিনি এমনকি কমলা হ্যারিস ইন্ডিয়ান নাকি কৃষ্ণাঙ্গ, এই সস্তা এবং বর্ণবাদী বিষয় নিয়ে আজকের বিতর্কে পানি ঘোলা করতে চেয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us