ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন, বিচারের নামে অথবা নিছক সন্দেহের বশে কিছুতেই বুলডোজার চালানো যাবে না। অবৈধ স্থাপনা ভাঙতে প্রয়োজনে বুলডোজার চালানো হতে পারে, তবে তা করতে হবে আইন মেনে। নিয়ম মেনে। সে জন্য নোটিশ দিতে হবে। নোটিশের জবাব পাওয়ার জন্য সময় দিতে হবে। স্থাপনা খালি করার সুযোগ দিতে হবে। ভারতের সর্বত্র নিয়ম–বিধি চালু করতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশনামা জারির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। খুবই সাধু উদ্যোগ। কিন্তু প্রশ্ন জাগে, উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের চালু করা এই বুলডোজার নীতির প্রয়োগ কি তাতে বন্ধ হবে?
প্রশ্ন জাগার কারণ, আজও স্বঘোষিত গোরক্ষকদের হাতে নিছক সন্দেহের কারণে নিরপরাধ মানুষকে প্রাণ হারাতে হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি বি আর গাভাই ও কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ যেদিন বুলডোজার নীতি–সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি করে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, সেদিনই জানাজানি হয়, দিল্লির অদূরে হরিয়ানার ফরিদাবাদে স্বঘোষিত গোরক্ষকদের গুলিতে প্রাণ হারাতে হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়াকে, স্রেফ গরু পাচারকারী সন্দেহে। মৃত্যুর পর জানা যায়, তরুণটি আদৌ গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত নন। দুই বন্ধুর সঙ্গে খেতে বেরিয়েছিলেন। তিনজনই হিন্দু। যিনি নিহত হন, তাঁর নাম আরিয়ান মিশ্র।