নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বন্যা: নদী-খালের বাঁধই গলার কাঁটা

আজকের পত্রিকা প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:০৭

দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি ঢোকে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে। গত কয়েক দিনে সেখানকার কয়েকটি জেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। পরিস্থিতির উন্নতিও হয়েছে কয়েক জেলায়। তবে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীতে বন্যার পানি কমছে ধীরে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, দুই জেলায় অধিকাংশ খাল-নদী দখল হয়ে গেছে। কোনো কোনো নদী ও খালে অপরিকল্পিতভাবে দেওয়া হয়েছে বাঁধ। এতে করে পানি নেমে যেতে পারছে না। দুই জেলায় এখনো মানুষ পানিবন্দী।


চলমান বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল নোয়াখালী সদর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলায়। জেলায় ১০ দিনের বেশি সময় ধরে এখনো পানিবন্দী প্রায় ১৭ লাখ মানুষ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন্যাকবলিত আট উপজেলার খালগুলোর প্রায় বেশির ভাগ অংশই বেদখলে। বিশেষ করে প্রতিটি বাজারের অংশে যে খালগুলো রয়েছে, সেগুলোর ৯০ শতাংশই দখল। খালের ওপর গড়ে তোলা হয়েছে দোকানপাট, কোথাও কোথাও বাঁধ দিয়েছে অনেকে। খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় বন্ধ হয়েছে পানির গতিপথ।



পুরো জেলায় কয়টি খাল রয়েছে, এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই বলে স্বীকার করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল। তিনি বলেন, নোয়াখালী খাল ও ওয়াপদা খাল তাঁদের রেকর্ডে রয়েছে। যেগুলো প্রায় সময় সংস্কার করে থাকেন তাঁরা। 


তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলা প্রশাসকের রাজস্ব বিভাগে কাগজে-কলমে অনেক খালের খালের হিসাব থাকলেও বাস্তবে তা নেই। কয়েক বছর ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাবশালীরা খালগুলো ব্যবসায়ীদের কাছে ইজারা দিয়েছেন; নিজেরাও দখল করেছেন। 
প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একসময় জেলার বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী থেকে এসব খাল হয়ে পণ্যবাহী নৌকা জেলার বিভিন্ন উপজেলা এবং পাশের লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও চাঁদপুরে যেত। এখন নৌকা চলা তো দূরের কথা, এসব খাল দিয়ে পানিও নামে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us