জম্মু–কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনের নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠেছে নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামির সদস্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত। ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) শীর্ষ নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে। সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পিডিপিও। এই দলের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি করেছেন, ওই সংগঠনের ওপর জারি থাকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার সেই ভাবনা থেকে পিছিয়ে এসেছে।
জামায়াতে ইসলামির ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত উপত্যকার রাজনীতিকে চনমনে করে তুলেছে। এতকাল যারা নির্বাচন বর্জনের কথা বলে এসেছে, তারাই এখন ভারতীয় গণতন্ত্র ও সংবিধানের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে জনমনে কেমন প্রতিক্রিয়া হবে, সেই জল্পনা বিভিন্ন দলে শুরু হয়েছে। কোনো কোনো মহল যথেষ্ট আশাবাদী, গত লোকসভা ভোটে বারামুল্লা কেন্দ্রে বিচ্ছিন্নতাবাদী কারাবন্দি নেতা প্রকৌশলী রশিদের বিপুল জয়ে। তাঁরা মনে করছেন, এ যাবৎ যেমন ভোট হয়ে এসেছে, এবারের ভোট হবে তার চেয়ে আলাদা। রশিদ দুই লাখের বেশি ভোটে হারিয়েছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও এনসি নেতা ওমর আবদুল্লাহকে।