দেশের অর্থনীতি প্রায় ভঙ্গুর। ঋণখেলাপিতে বিপর্যস্ত ব্যাংক খাত। ডলার-সংকটে রিজার্ভ কমতে কমতে তলানিতে। পাহাড়সম বিদেশি ঋণ। রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ভাটার টান। গতিহীন রাজস্ব আয়। জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক দামে মূল্যস্ফীতিও লাগামহীন। ছাত্র-জনতার আকস্মিক গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের শাসনামল শেষে এমনই ফোকলা অর্থনীতি সামলানোর ভার এসে পড়েছে সদ্য দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন ড. ইউনূস সরকারের ওপর। আন্দোলন, জ্বালাও-পোড়াওয়ের পর এখন মন্দা অর্থনীতিকে টেনে তোলার চ্যালেঞ্জই বড় হয়ে আসছে সামনে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, অর্থনীতিকে ঠিক জায়গায় আনতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে হবে। তা না হলে অর্থনীতিতে আরও খারাপের ঝুঁকি রয়েছে। অবশ্য উদ্যোক্তারা তড়িঘড়ি না করে নতুন সরকারকে সময় দেওয়ার পক্ষে।
সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে জানা যায়, একসময় ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘরে উঠে যাওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহারযোগ্য নিট রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুর্বল নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্ত এটা ধরে রাখতে পারেনি। সদ্য বিদায়ী জুলাই মাসেই রিজার্ভ কমেছে ১৩০ কোটি ডলার। দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন গভর্নরের অন্যতম চ্যালেঞ্জই হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়িয়ে আমদানি সহজলভ্য করা, যাতে বিনিয়োগ বাড়ে, উৎপাদন খাত চাঙা হয় ও মানুষের কর্মসংস্থানে গতি আসে।