মিরপুর-১৩ নম্বরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে কথা হয় আইডিয়াল স্কুল রোডের বাসিন্দা আজিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি এসেছিলেন জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত কাজে, কিন্তু তার কাজ কবে হবে সে বিষয়ে কোনো ধারণা ছাড়াই ফিরতে হয়েছে তাকে।
আজিজুর বলেন, “আমার একটি দোকান আছে যেখানে অনেকের জন্ম নিবন্ধনসহ বিভিন্ন কাজের ফরম ফিলাপ করে দেই। কয়েকজনের জন্ম নিবন্ধনের ফরম ফিলাপ করে আমিই দিয়ে গিয়েছিলাম এখানে। রেডি হলে নিয়ে গিয়ে আবার তাদেরকে দিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু ৫ তারিখের পর থেকে কার্যালয় বন্ধ থাকায় কাজগুলো হয়নি। এদিকে যাদের জন্ম নিবন্ধন করানোর কথা তারা তাগাদা দিচ্ছে।”
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন থেকে সারাদেশে সরকারি বেসরকারি স্থাপনা, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যে বেপরোয়া হামলা হয়েছে, তা থেকে বাইরে নয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর কার্যালয়ও।
বিএনপির বর্জনের কারণে ভোটে নির্বাচিতরা প্রায় সবাই আওয়ামী লীগপন্থি, তাদের সবার কার্যালয়ই ভাঙচুর করা হয়েছে; আগুন দেওয়া হয়েছে, অনেক জায়গায় নথিপত্র পুড়ে গেছে, লুট হয়েছে জিনিসপত্র, নিম্ন আয়ের মানুষদের সহায়তার জন্য রাখা জিনিসপত্রও নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।