বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে কিছু অপতথ্য ও ভুয়া ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেই ভুয়া ভিডিও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও প্রচারিত হচ্ছে।
যেমন চট্টগ্রামের নবগ্রহ মন্দিরে হামলার ঘটনা দাবি করে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় ডেইলি লেটেস্ট আপডেটস নামের একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে। যেখানে #AllEyesOnBangladeshiHindus এবং #SaveBangladeshiHindus হ্যাশট্যাগ ছিল।
ভিডিওটি ভারতীয় গণমাধ্যম রিপাবলিক টিভির অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলেও প্রচার করা হয়।
অনলাইন যাচাই ও মিডিয়া গবেষণা প্ল্যাটফর্ম ডিসমিস ল্যাব বলছে, নবগ্রহ মন্দিরে অগ্নিসংযোগ বা আগুন দেওয়ার বিষয়টি ঠিক নয়। তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ওই ভিডিওকে অপপ্রচার বলে দাবি করেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চট্টগ্রামের লালদীঘি পাড়সংলগ্ন নবগ্রহ মন্দিরে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। হামলা হয়েছে মন্দিরের কাছাকাছি অবস্থিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে। সেখানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি অক্ষত মন্দিরের ছবি পাঠিয়ে জানান, মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক স্বপন দাসও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে প্রথম আলো যোগাযোগ করে জেনেছে, অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি নবগ্রহ মন্দিরের নয়। মন্দিরটির পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা রনি বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘মন্দিরে আমরা সার্বক্ষণিক পাহারা দিচ্ছি। এখন পর্যন্ত কিছু হয়নি।’ তিনিও জানান যে আগুনের ঘটনাটি মন্দিরের পেছনে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের।
বাংলাদেশে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। পরদিন সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
অবশ্য শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়, নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা হয়।