শিক্ষার্থীদের এক দফার আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে মাঠে নেমেছিল আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো। তাদের শক্তিপ্রয়োগের প্রেক্ষাপটে গতকাল রোববার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী, পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ-সংঘাত হয়েছে। আরও দু-তিন দিন দলের নেতা-কর্মীদের এভাবে শক্তিপ্রদর্শনের নির্দেশনা রয়েছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণহানির পর সেনাবাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় প্রচণ্ড চাপে পড়ে সরকার। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ৯ দফা দাবি থেকে গত শনিবার সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করা হয়।
আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে শনিবার আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক বৈঠকে রাজনৈতিক শক্তিপ্রয়োগের মাধ্যমে এ আন্দোলন দমনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলের নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা মাঠে নামার প্রস্তুতি নেন। এদিন মধ্যরাতেই ঢাকার অনেক এলাকায় তাঁদের শক্তির মহড়া দিতে দেখা গেছে।
রোববার সকাল থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আন্দোলন প্রতিরোধে নেমে পড়েন। তাঁদের হাতে ছিল লাঠিসোঁটা, রামদাসহ নানা রকম দেশি অস্ত্র। অনেকের হাতে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রও দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশে থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষে জড়াতে দেখা যায়।