ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সম্পূর্ণ মন্ত্রীসভার পদত্যাগ ও বিচারের আওতায় আনার এক দফা দাবিতে রোববার থেকে দেশব্যাপী ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’র ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আন্দোলনে কী চলবে এবং কী চলবে না, তা জানিয়েছেন আন্দোলনের সমম্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব নির্দেশনা ঘোষণা করেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক কোন ধরনের ট্যাক্স বা খাজনা প্রদান করবেন না। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিলসহ কোন ধরনের বিল পরিশোধ করবেন না। সকল ধরনের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত ও কল-কারখানা বন্ধ থাকবে। আপনারা কেউ অফিসে যাবেন না, মাস শেষে বেতন তুলবেন।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরনের রেমিট্যান্স দেশে পাঠাবেন না। সকল ধরনের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন। বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দেবেন না। কোনো ধরনের পণ্য খালাস করবেন না। দেশের কোন কলকারখানা চলবে না, গার্মেন্টসকর্মী ভাই-বোনেরা কাজে যাবেন না।
তিনি আরও বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবেন না। পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ব্যতীত কোন ধরনের প্রটোকল ডিউটি, রায়ট ডিউটি ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধু থানা পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবেন। দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সেজন্য সকল অফশোর ট্রানজেকশন বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যতীত অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে। আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না, ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না। বিলাস দ্রব্যের দোকান, শো-রুম, বিপণী-বিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।
খোলা থাকবে যেসব সেবা
আসিফ মাহমুদ বলেন, জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রবিবারে ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে। এছাড়াও হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা যেমন-ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহণ, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণ, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণ সহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহণ সেবা চালু থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১-১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।