বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর একটা কথা খুব শুনতাম—বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে নাকি বন্ধু হয় না।
কথাটা বিশ্বাস-অবিশ্বাস কিছুই করতে পারিনি। একদিকে যেমন ছিল হাসি, গানে, আড্ডায়, কার্ড খেলায় দিন পার করে দেওয়া, তেমনি মনোমালিন্য, ভুল–বোঝাবুঝি বা মতবিরোধের দিনও আসলে কম ছিল না।
কাজেই বন্ধুত্ব ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের প্রজন্মকে সব সময়ই একটা দ্বিধার মধ্যে থাকতে হয়েছে। বলা ভালো, থাকতে হতো।
ছোটবেলায় ঈশপের গল্প পড়েছিলাম। বন্ধু চেনার গল্প। বিপদে যে বন্ধু ভালুকের মুখে ফেলে চলে যায়, সে নকল বন্ধু। সমস্যা হলো, এই নগরজীবনে বন্ধু বাছাই করতে গিয়ে ভালুক পাব কোথায়?
এই আফসোস ঘোচাতে ‘ভালুক’ বোধ হয় চলেই এল। কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর দিন পনেরো পর হুট করেই আমাদের বলা হলো—এই মুহূর্তে হল ছাড়তে হবে।
সাধারণত এভাবে আমরা হল ছাড়ি উৎসবের আগে, ছুটির আগে। এবার সেই উৎসবের জায়গা নিল ভয় আর ক্ষোভ। শেষবারের মতো আলিঙ্গনের সময় আমাদের বুক কেঁপে গেল। আবার সবাইকে সুস্থভাবে দেখতে পাব তো?