কোটা সংস্কার আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল চাকরির ক্ষেত্রে কোন ধরণের বৈষম্য ব্যতিরেকে সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়ার নিশ্চয়তা। এক্ষেত্রে বর্তমান বাংলাদেশের শ্রমবাজারে নাগরিকদের জন্য কি ধরণের চাকরির সুযোগ আছে সেই বিষয়টা জানা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা উচ্চশিক্ষিত নাগরিকদের জন্য সরকারি চাকরি বলতে বোঝায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস কমিশন বা বিসিএস ক্যাডার হওয়া। কিন্তু সেই চাকরির পরিমাণ আসলে কত?
বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন রিপোর্ট ২০২০ অনুসারে বিগত ৩৫-৩৯তম বিসিএসের ৫টি নিয়োগ পরীক্ষার পরিসংখ্যান বলছে, মোট নিয়োগ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮১৩ জন। মেধা কোটায় ৯,৮১৮ জন (৬৬.২%), জেলা কোটায় ২,১২৪ জন, মহিলা কোটায় ১,৪২৬ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১,২৯৮ জন (৮.৭%), ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটায় ১৩১ জন ও প্রতিবন্ধী কোটায় ১৬ জন। যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে এত কথা সেই কোটায় নিয়োগ পেয়েছেন মাত্র ৮.৭ শতাংশ। এই কোটা না থাকলে মেধা কোটায় চাকরি পেতেন হয়তো আরো ১,২৮৯ জন।