গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীরা। অনেকেই চলে গেছেন আÍগোপনে। থাকছেন না বাসাবাড়িতে। বন্ধ করে রেখেছেন মোবাইল ফোন। কর্মীদের সঙ্গে সিনিয়র নেতাদের যোগাযোগ প্রায় বন্ধ। যে যেভাবে পারছেন, কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে গ্রেফতার এড়ানোই এখন তাদের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে সহিংসতা-নাশকতার অভিযোগে একের পর এক মামলা হচ্ছে। এসব মামলায় এরই মধ্যে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। অনেকের বাসাবাড়িতে রাতে হানা দিচ্ছে পুলিশ। তাই পারতপক্ষে বাড়িঘরে যাচ্ছেন না তারা। যদিও চট্টগ্রামের বিএনপি নেতারা দাবি করে আসছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল না। এরপরও গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে। বিএনপির দাবি, সরকার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে বিএনপিকে ঘায়েল করতে চাইছে। এ কারণে অতীতের মতো নিরীহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে পুলিশ আবারও নেমেছে মাঠে ।
চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই নগরীর মুরাদপুরে সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থী ও এক পথচারীসহ তিনজন মারা যান। আহত হন অন্তত ৬০ জন। ১৮ জুলাই বহদ্দরাহাট এলাকায় সংঘর্ষে প্রাণ হারায় আরও দুজন। এছাড়া ষোলশহর ও শাহ আমানত সেতু এলাকায়ও সংঘর্ষ হয়। মিছিল হয় নগরীর বিভিন্ন স্থানে। এসব ঘটনায় হত্যা মামলা ছাড়াও বিভিন্ন থানায় পুলিশের ওপর হামলা, নাশকতা, বিস্ফোরক, ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়েছে।