কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে হলিউডে হইচই

প্রথম আলো ইশতিয়াক মান্নান প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১৯:২৯

আপনাদের কি ‘জুরাসিক পার্ক’ সিনেমায় বৃষ্টির মধ্যে ডাইনোসরের তেড়ে এসে গাড়ি উল্টে ফেলার ভয়ংকর দৃশ্যটা মনে আছে? কিংবা ‘কিউরিয়াস কেস অব বেঞ্জামিন বাটন’–এর সেই দৃশ্য, যেখানে দেখা যাচ্ছিল যে ব্র্যাড পিটের বয়স কমে যাচ্ছে? এসবই কিন্তু এআইয়ের কাজ।


ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট, সম্পাদনা, পোস্টপ্রোডাকশন—এসব কাজে বেশ কয়েক দশক ধরেই হলিউডে এআই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আসলে শুধু এআই নয়, সিনেমায় বা টেলিভিশনের জন্য কনটেন্ট তৈরিতে এআইয়ের সঙ্গে অনেক প্রযুক্তির একধরনের চমৎকার সমন্বিত ব্যবহার করা হয়। উদ্দেশ্য একটাই, দর্শক–শ্রোতাদের হৃদয়ে গেঁথে যাওয়ার, চমৎকৃত, বিনোদিত ও আনন্দিত হওয়ার মতো অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করা। হোক ঘরের টেলিভিশন কিংবা সিনেমা হলের বড় পর্দায়, এসব অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে আমাদের আগে কখনো হয়নি।


সম্প্রতি আমরা দেখছি সিনেমায় কম্পিউটারের তৈরি করা ছবির ব্যবহার (সিজিআই প্রযুক্তি)। ২০১৬ সালে তৈরি করা স্টার ওয়ার্সের সিনেমা ‘রোগ ওয়ান’–এ ১৯৯৪ সালে প্রয়াত পিটার কুশিংকে দেখা গেছে।


এআই–ভিত্তিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ২০২৩ সালে ‘ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য ডায়াল অব ডেসটিনি’ ছবির শুরুতে তরুণ হ্যারিসন ফোর্ডের ছবিকে তাঁর অশীতিপর শরীরের ওপর প্রতিস্থাপন করে দেখানো হয়েছে।


যে সাইমন কাওয়েলকে ‘আমেরিকা গট ট্যালেন্ট’–এর (এজিটি) বিচারকের আসনে একজন ভীতিকর, প্রচণ্ড খুঁতখুঁতে ও ঠোঁটকাটা মানুষ বলে সবাই জানে, এআই যখন তাঁকে দিয়ে এজিটির একজন প্রতিযোগী হিসেবে মঞ্চে গান গাওয়ায়, তখন সেটা নির্মল ও অভিনব বিনোদন তো বটেই।


এআই আমাদের নিত্যনতুন বিনোদিত ও চমৎকৃত করছে ঠিকই, কিন্তু পর্দার পেছনে কাজ করা মানুষদের জীবনে যা ঘটছে তা কিন্তু বিনোদন নয়; বরং জীবন ও জীবিকার সংকটের বাস্তবতা।


২০২৩ সালে গল্প-স্ক্রিপ্ট লেখক, অভিনেতা, সিনেমাটোগ্রাফাররা একজোট হয়ে হলিউডের ইতিহাসে দ্বিতীয় দীর্ঘতম ১৪৬ দিনের ধর্মঘটে গিয়েছিলেন। তাঁদের দর-কষাকষির মধ্যে একটা প্রধান বিষয় ছিল—এআইয়ের ব্যবহার এবং তার সঙ্গে সংযুক্ত সৃষ্টিশীল কাজ ও মেধার মূল্যায়নের বিষয়। আশার কথা, ধর্মঘট শেষ হয়েছে পর্দার পেছনে কাজ করা মানুষদের স্বার্থ রক্ষা করেই। যুক্তরাষ্ট্রের রাইটার্স গিল্ড, হলিউড কর্মকর্তাদের সঙ্গে দর-কষাকষিতে শেষ পর্যন্ত এআই–বিষয়ক বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছেন।


এই ধর্মঘটের পেছনে সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে যে ধারণা বা ভয় কাজ করেছে, তা হলো—অচিরেই একটা পুরো চলচ্চিত্র বা টেলিভিশন ধারাবাহিকই তৈরি হবে এআই দিয়ে, যেখানে মানুষের ভূমিকা প্রায় থাকবে না বললেই চলে। যাঁদের মধ্যে ভয়টা সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে, তাঁরা হচ্ছেন লেখক সম্প্রদায়, যদিও চুক্তির পর তাঁদের অনেকেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন।


অন্য সব কাজের ক্ষেত্রের মতোই রুপালি পর্দার জগতেও এআইয়ের প্রবেশ ও প্রভাব এবং সম্ভাব্য প্রতিপত্তি নিয়ে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া আছে। যাঁরা সৃজনশীলতার সনাতনী ধারার পক্ষে, তাঁরা বিরক্ত ও আতঙ্কিত হয়ে বলছেন, এই প্রযুক্তি যেন আমাদের গল্প বলার সহজাত পদ্ধতিটাকে নষ্ট করে না দেয়, সে জন্য সব সময় সতর্ক ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাঁদের কথা হচ্ছে, যতই সিজিআই দিয়ে বাস্তবের মতো করে কাউকে পর্দায় দেখানো হোক না কেন, আসলে তো সেটা প্রযুক্তির বানানো একটা মরীচিকা, তার ভেতরে তো কোনো আত্মা নেই। কেউ হতাশ হয়ে বলছেন, ‘আমাদের অলস করে দেওয়ার ফন্দি সব।’
যাঁরা প্রযুক্তির পরিবর্তনটাকে মেনে নিতে পারছেন, তাঁরা বলছেন যে দ্রুত সবাই কোনো না কোনোভাবে এআই ব্যবহার করতে শুরু করবে এবং এর উপকারটাও বুঝতে পারবে। এমি পুরস্কার জেতা একজন প্রযোজক বলছেন, ‘(ধর্মঘটের পর) কাজের চুক্তিগুলো করতে পেরে সবাই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে ভাবছেন, এআইয়ের হাত থেকে বড় বাঁচা গেল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us