কর্মচারীরা দুর্নীতি করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে। ঘুস, তহবিল তছরুপ, আত্মসাৎ, পক্ষপাতিত্ব, স্বজনপ্রীতি এবং অন্যান্য অনৈতিক কার্যক্রম দ্বারা কর্মচারীরা দুর্নীতি করে। তাদের এ দুর্নীতি প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা বিনষ্ট করে, সরকার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। এছাড়া দুর্নীতি সর্বদাই সুশাসন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ব্যাহত করে। দুর্নীতিবিরোধী কঠোর আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার দ্বারাই কেবল সরকারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করে জনআস্থা প্রতিষ্ঠা করা যায়; কিন্তু প্রশ্ন হলো, দুর্নীতিবিরোধী আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি না করে, বরং তা আরও শিথিল ও নমনীয় করে দুর্নীতিকে লাগামহীনভাবে চলতে দেওয়ার দায় কার?
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি দুর্নীতি দমনের উপায় ও কৌশলের মধ্যে অন্যতম হলেও প্রাথমিক ও প্রধানতম উপায় ও কৌশল হলো কঠোর আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, দুর্নীতি দমনের জন্য বাংলাদেশের আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো অত্যন্ত নমনীয় ও শিথিল।