সাগরের আছড়ে পড়া ঢেউ, শেষ বিকেলের কমলা সূর্যের আলোয় হলদে বালিয়াড়ি আর ভাজা রুপচাঁদা মাছের স্বাদে ঝরঝরে ভাতের সাথে নানান পদের ভর্তা দিয়ে রাতের খাবার।
কক্সবাজারে গিয়ে এসব উপভোগ করা যায় সহজেই। আর হোটেল থেকে বের হয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে হিমছড়ির ঝরনা পেরিয়ে ইনানীর পাথুরে সৈকত অথবা অরণ্যঘেরা দ্বীপ মহেশখালীর সৌন্দর্য দেখেই হয়ত বাড়ি ফেরা হয় বেশিরভাগ পর্যটকদের।
এসব জায়গা ছাড়াও রয়েছে রামু উপজেলার বৌদ্ধমন্দির বা রাবার বাগান, টেকনাফের মাথিনের কূপ।
এসব জানা জায়গা ছাড়াও বর্তমানে কক্সবাজরের আশপাশে আরও কয়েকটি বেড়ানোর জায়গা গড়ে উঠেছে। সেসব নিয়েই এবারের আয়োজন।
কক্সবাজারে গিয়ে বান্দরবানের স্বাদ
বান্দরবানের মতো বড় পাহাড় না হলেও পাহাড়ি রাস্তার আঁকাবাঁকা পথের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে চলে যেতে হবে কক্সবাজারের মিনি বান্দরবান খ্যাত গোয়ালিয়া’তে।
মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে ইনানী যাওয়ার মাঝপথে রেজুখাল ঘেষা এই এলাকায় দেখা যাবে পাহাড়, নদী-খাল, সারি সারি সুপারি বাগান। আর নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে পাহাড়ের ওপরে উঠলে চোখে পড়বে দূরে বঙ্গোপসাগর।
টেকনাফ সমুদ্র সৈকত
কক্সবাজারের সৈকতের লোক সমাগম এড়িয়ে নিরিবিলিতে সমুদ্রের গর্জন শুনতে চাইলে যেতে হবে টেকনাফ সৈকতের শেষ সীমানায়। মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে শেষ প্রান্তে যেতে যেতে চোখে পড়বে সৈকতে রাখা বর্ণিল সাম্পানের মেলা। সেখানে নেমে মন মতো ছবিও তোলা যায়।
কক্সবাজারে সুন্দরবন
কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগর ও বাকঁখালী নদীর মিলন মোহনার ‘প্যারাবন’টি এখন কক্সবাজারের মিনি সুন্দরবন হিসেবে খ্যাত। বাইন, কেওড়াসহ নানান ধরনের শ্বাসমূলীয় গাছের সমন্বয়ে তৈরি এই বনের পাশে সৈকতে নুনিয়াছড়ায় রয়েছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।