গত ৬ জুন পৌনে ৫ লাখ কোটি টাকার বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এ বাজেটকে সাধুবাদ জানাতে পারছি না। কারণ, আমি এ বাজেটে আশাব্যঞ্জক কিছু দেখছি না। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ বাজেটে আশাব্যঞ্জক কিছু দেখানো সম্ভবও নয়। কারণ, মিস ম্যানেজমেন্ট বা ব্যাড ম্যানেজমেন্ট যাই বলি না কেন, বাজেটের জন্য দুটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর একটি হচ্ছে ইনফ্লেশন বা মূল্যস্ফীতি আর অপরটি হচ্ছে সরকারি ঋণ। যেভাবে জ্যামিতিক আকারে সরকারি ঋণ বাড়ছে, সেটা আগামী দু’বছরে সরকার কীভাবে শোধ করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সরকারের উচিত ছিল তার আকার ছোট রাখা এবং কম ব্যয় করা। কিন্তু সরকার সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। অর্থাৎ সরকারের আকার বড় হওয়ায় খরচের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে অধিক হারে ঋণ করতে হয়েছে সরকারকে। সরকারের বিশাল অঙ্কের খরচ মেটানোর জন্য ট্যাক্সের ওপর অধিক হারে জোর দিতে হয়েছে। বেশি ট্যাক্স উঠাতে গিয়ে সরকার প্রত্যেক জায়গায় ৫ থেকে ১০ শতাংশ সুদ বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ, এ সুদ বাড়ানোর কথা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আগেই বলে দিয়েছে। আইএমএফের কথা তো আমাদের শুনতেই হবে; যেহেতু আইএমএফ আমাদের সম্ভবত কিস্তিতে ১ বিলিয়ন করে ডলার দিচ্ছে।
আরেকটি কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যেসব দেশের অর্থনীতিতে আইএমএফকে ডেকে আনা হয়েছে, তারা কেউই ঋণ থেকে আর উদ্ধার পায়নি। যেমন-পাকিস্তান, মিশর, নাইজেরিয়া, ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশসহ অনেক রাষ্ট্র ওই ঋণের মধ্যে থেকেই হাবুডুবু খাচ্ছে। এদের কারোই ঋণের বোঝা কমেনি, বরং বেড়েছে। বাংলাদেশও সেই পথেই যাচ্ছে।