ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র কি আন্তর্জাতিক আইনের ঊর্ধ্বে

প্রথম আলো জনাথন কুক প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২৪, ২০:৪৮

আন্তর্জাতিক আইন সমুন্নত রাখতে এবং গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধের চেষ্টা করতে গিয়ে বিশ্বের দুটি সর্বোচ্চ আদালত ইসরায়েলের অদম্য শত্রুতে পরিণত হয়েছেন। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) পৃথক দুটি ঘোষণায় গাজায় ইসরায়েলকে ব্যাকফুটে যেতে বাধ্য করা উচিত ছিল। আইসিজের (বিশ্ব আদালত নামে পরিচিত) বিচারকদের একটি প্যানেল দাবি করেছিল যে ইসরায়েল অবিলম্বে দক্ষিণ গাজার রাফায় চলমান আক্রমণ বন্ধ করুক। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল আক্রমণ ও নৃশংসতার তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়।


গত ২৩ মে গাজা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়া শরণার্থী পরিবারগুলোর একটি কথিত ‘নিরাপদ অঞ্চলে’ বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। বিমান হামলার ফলে তাঁবুতে ঘেরা একটি এলাকায় আগুন ধরে যায়, কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাঁদের মধ্যে অনেকে জীবন্ত পুড়ে যান। এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বোমা হামলায় একটি শিশুর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মাথা ধরে আছেন এক ব্যক্তি । আরও শতাধিক, যাঁদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু, ভয়াবহ দগ্ধসহ গুরুতর জখম হয়েছেন। ইসরায়েল সেখানকার প্রায় সব চিকিৎসা-সুবিধা ধ্বংস করেছে, যা রাফায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করতে পারত। সেই সঙ্গে  ইসরায়েল বেদনানাশক ওষুধের মতো মৌলিক চিকিৎসা সরবরাহ প্রবেশ প্রত্যাখ্যান করেছে, যা ফিলিস্তিনিদের যন্ত্রণা কমাতে পারত।


এ ঘটনাগুলো ঠিক সেটারই ফলাফল যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কয়েক মাস আগে সতর্ক করেছিলেন, রাফায় ইসরায়েলি হামলা একটি ‘রেড লাইন’ তৈরি করবে। কিন্তু ইসরায়েল এটি অতিক্রম করার মুহূর্তে মার্কিন ‘রেড লাইন’ হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। বাইডেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাফার ছবিগুলোকে ‘হৃদয়-বিধ্বংসী’ বলে একটি বিবৃতি দিয়ে তাঁদের দায় সেরেছেন।


২৩ মের হামলার পরও এ ধরনের ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি হয়েছিল। ইসরায়েলি বাহিনী দুই দিন পর একই এলাকায় আবার হামলা চালায়। তারা ২১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে, যাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।


‘দাঁতওয়ালা একটি প্রক্রিয়া’


জানুয়ারিতে ইসরায়েলকে গণহত্যার জন্য কার্যকরভাবে বিচার করার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব আদালত রাফায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি করেছিলেন। এই আদালতে একটি বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েক বছর লাগতে পারে।


আইসিজে ফিলিস্তিনিদের গণহত্যায় ঝুঁকিপূর্ণ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে ইসরায়েলের বিরত থাকা নিয়ে জোর দিয়ে বলেছিলেন। আদালত দৃঢ়ভাবে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাফায় চলমান হামলা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে পারে। ইসরায়েল সম্ভবত আদালতকে অস্বীকার করার সাহস করেছিল। কারণ, এটি নিশ্চিত ছিল যে এতে বাইডেন প্রশাসনের সমর্থন ছিল।


জাতিসংঘের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে গাজার ক্রমাগত খারাপ হওয়া বিপর্যয় বর্ণনা করার জন্য তাঁদের নেতিবাচক শব্দ শেষ হয়ে গেছে। তাঁরা এটিকে ‘পৃথিবীতে থাকা নরক’ বলে অভিহিত করেছেন। আইসিজের রায়ের কয়েক দিন আগে, অবশেষে তাঁর সমধর্মী কোর্ট, আইসিসির চাকা ঘুরতে শুরু করে।


আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং তিন হামাস নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইবেন। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা গাজায় বহু মাস ধরে ত্রাণ বিতরণে বাধা দিচ্ছেন এবং দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছেন।


আইসিসি ইসরায়েলের জন্য আইসিজের চেয়ে আরও ‘বিপজ্জনক’ বিচারব্যবস্থা হতে পারে। ইসরায়েল নিশ্চিতভাবে গাজায় একটি গণহত্যা করেছে কি না, সে বিষয়ে আইসিজের সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে কয়েক বছর লাগতে পারে। অন্যদিকে আইসিসি কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us